নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের পুরুষ ছাত্রবাস ভবনের ছাদ ধসের ঘটনায় আতংকিত শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ছাত্রবাসের দাবীতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা ইশরাক আটক
আজ বুধবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১২টায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালক ডা.আবদুল মতিনের কাছে স্মারক লিপি তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
আতংকিত শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৪ সালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন স্থাপনা মেডিকেল কলেজে রুপান্তর করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
সমসাময়িক সময়ে সরকারের অনুমোদনকৃত সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর মেডিকেল কলেজ স্বতন্ত্র ক্যাম্পাসে হন্তান্তরিত হলেও পটুয়াখালীর এক প্রবীন রাজনৈতিক নেতার একগুয়েমির কারণে স্বতন্ত্র ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে মানবেতর ভাবে এখানে অবস্থান করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে টিকাদানে অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার
একাধীক শিক্ষার্থী জানান, জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনে মেডিকেলের কার্যক্রম চলমান থাকায় প্রায়শই বিভিন্নস্থানে ফাটল,পলিস্তারা খসে পড়া, নাজুক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বর্ষাকালে ড্রেনের পানিতে সব কছিু তলিয়ে যাওয়ার নিত্য দিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। তারা জানান, ২০২০ সালের মধ্যে নির্মান কাজ শেষে নতুন ছাত্রবাসে হস্তান্তরের কথা থাকালে কাজ শেষ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত তাদের জরাজীর্ণ ভবনে থাকতে হচ্ছে।
তারা আরও জানান,২০২১ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ উর্দ্ধতন কমকর্তারা পটুয়াখালীতে মেডিকেলে পরির্দশনে আসলে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের মাধ্যমে ছাত্রাবাস হস্তান্তরের দাবী জানান। ছয়মাস আগে তাদের নব নির্মিত ছাত্রবাসে যাওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে তাদের জরাজীর্ন ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে টিকাদানে অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার
বর্তমানে ঝুকিপূর্ণ এ ছাত্রবাসে তারা নিরুপায় হয়ে অবস্থান করছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে ও আজ সকালে ছাদের পলেস্তারা খসে বিছানার উপর পড়েছে। সৌভাগ্যক্রমে সেখানে কেউ অবস্থান না করায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটেনি। জরুরী ভিত্তিতে তাদের নতুন ছাত্রবাসে স্থানারন করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
পরে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে ছাত্রদের সঙ্গে এক বৈঠকে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান, দ্রæত সময়ের মধ্যে তাদের নতুন ছাত্রাবাসে স্থানান্তর করা হবে। শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ক্যাম্পাসে পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে