নিজস্ব প্রতিবেদক,টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শ্বশুরের দায়ের কোপে আহত পুত্রবধূ হামিদাকে (৩২) অবশেষে মারা গেলেন।
শ্বশুর নবু খান (৭০) তার ছেলে টিক্কা খানের (৪৫) স্ত্রী হামিদাকে পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দিবাগত রাতে মৃত্যু হয়। নাগরপুর উপজেলার মেঘনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, নবু খানের সঙ্গে তার ছেলের বউ হামিদার কথা কাটাকাটি লেগেই থাকতো। নবু খান একজন বয়স্ক মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষ। নবু খান গত বৃহস্পতিবার বিকালে পারিবারিক কলহের জেরে দা দিয়ে হামিদাকে কুপিয়ে জকম করেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গতকাল রাতে তার মৃত্যু হয়।
হামিদার কন্যা শিশু জানায়, তার মা গোসলের সময় তার দাদা (নবু খান) তার মাকে পেছন থেকে কোপ মারে। তার মার চিৎকারে সে কাছে গেলে তাকেও কোপানোর হুমকি দেন।
হামিদার বোন বলেন, তার বোন হামিদাকে প্রথমে পেছন দিক থেকে তার শ্বশুর কোপ মারেন এবং পরে ফিরে দেখতে গেলে তার মাথায় কোপ দিতে যায়, তখন হাত দিয়ে ফেরানোর সময় তার বাম হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে যায়। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চান তিনি।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/আরএস