নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের চাইরাগ্র পাড়া হতে সেংগুম পাড়া পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদার আহম্মদ নবী ও সাবেক পিআইও মো. তারিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।
রুমা উপজেলা প্রকল্প বান্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ইট সলিং সড়ক নির্মাণ কাজটিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে পূর্বেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামসুল আলম পরিদর্শন পূর্বক বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে তিনি বদলিজনিত কারণে চলে যাওয়ার পরে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ এর মাধ্যমে যোগসাজশ করে ফের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে এই সড়কের কাজ শুরু করে এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, ইট সলিংএর নিচে যেখানে ফ্লাট সলিং দেয়া হয় সেখানে পুরনো পরিত্যক্ত ভাঙ্গা এবং দুই নম্বর ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এর উপরের অংশের ইট সলিং এর কাজেও দুই নম্বর ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বালি দেয়ার কথা থাকলেও বালির পরিবর্তে রাস্তার পাশের জাম'মাটি কুপিয়ে দেয়া ব্যবহার করা হয়। এবং ইট সলিং এর উপরে ইটের ফাঁকে বালি দেয়ার নিয়ম থাকলেও মানা হয়নি কোন নিয়ম, এই সড়কটিতে বালি না দেয়ার ফলে ফাঁক থেকে যাওয়ায় পানি জমে রাস্তাটি খুব দ্রুতই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বলে গুরুতর অভিযোগ তোলেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা।
বিষয়টি জানতে রুমা উপজেলার সাবেক পিআইও বর্তমান যোগদানকৃত থানচি উপজেলার পিআইও মো. তারিকুল ইসলামের মুঠোফোন ০১৭২৪৮৯৬২৩৪ এই নাম্বারে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার আহমদ নবী বলেন, আমি চন্দ্রসেন তঞ্চঙ্গ্যা নামের লাইসেন্স দিয়ে কাজটি করছি। নির্মাণ কাজে একটু অনিয়ম থাকতেই পারে আপনারা সাংবাদিকরা আমার এলাকার মানুষ নিউজ করলে আমার বিল পাইতে সমস্যা হবে। নিউজে আমাকে জড়াবেন না আর কয়টা দিন অপেক্ষা করেন আপনাদের সঙ্গে বসে সমাধান করবো। তবে কাজে অনিয়মে অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে রুমা উপজেলার সদ্য যোগদানকৃত (পিআইও) মো. আলী নূর বলেন, আগের পিআইও সাহেব কি করলো তো জানি না। তবে এই সড়ক নির্মাণ কাজটিতে অনিয়মের কথা শুনেছি। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমএআর/কেটি