নোয়াখালীর কবিরহাটে পৃথক অভিযানে বিএনপি নেতার দুই ভাইসহ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া। এর আগে সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে ও ঘোষবাগ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বাবরের ছোট ভাই জাকের হোসেন সোহাগ (৩২) ও মোশারফ হোসেন (২৮); একই ইউনিয়নের রামবল্লবপুর গ্রামের লাল মিয়া চৌকিদার বাড়ির আব্দুর রহিমের ছেলে মো. মিরাজ ওরফে মেহেরাজ হোসেন (২০); দক্ষিণ জগদানন্দ গ্রামের ছেরাজুল হকের বাড়ির ছেরাজুল হক ওরফে সিরাজের ছেলে মো. নূর উদ্দিন ওরফে সাগর (১৯)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের চরআলগী বাজারের পশ্চিমে ভুলু ডুবাই আলার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বাবরের ছোট ভাই মোশারফকে দুটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই দিন বিকালে পুনরায় অভিযান চালিয়ে বাবরের আরেক ভাই জাকের হোসেন সোহাগকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ—বাবরের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার ভাইয়েরা আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
অভিযোগ নাকচ করে ঘোষবাগ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বাবর বলেন, “তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমার প্রভাব খাটিয়ে তারা অবৈধ কোনো কাজ করতে পারে না। তারা তাদের মতো চলে। আমি খুব সাধারণ চলাফেরা করি, পাশাপাশি দলকে ভালোবেসে রাজনীতি করি।”
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া আরও বলেন, দুটি মামলায় ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উদ্ধারকৃত ৫টি মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
সাননিউজ/আরপি