কুষ্টিয়ার মিরপুরে নিজ ঘর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমি আক্তারের (২৬) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সুমি আক্তার আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক গোলাপ রহমানের মেয়ে। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুমি আক্তার জন্মগতভাবে ফাইব্রাস ডিসপ্লাসিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পূর্ণ করে গত দেড় মাস আগে থেকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়ায় তার নিজ বাড়ি থেকে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ফাইব্রাস ডিসপ্লাসিয়া রোগের কারণে শরীরে অনেক যন্ত্রণা হওয়ায়, সহ্য করতে না পেরে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিজের ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে দড়ি বেধে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুমির লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মাজিহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রফিকুজ্জামান বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থী সুমি ফাইব্রাস ডিসপ্লাসিয়া নামে একটি রোগে আক্রান্ত ছিল। সে গতরাত ৩টা পর্যন্ত নিজ ঘরে লেখাপড়া করেছে। পরে ফজরের নামাজের জন্য ডাকতে গেলে তার ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দেখা যায় সে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে রয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি বিরল রোগে আক্রান্ত ছিল। সহপাঠী এবং গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সহায়তায় তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু গতকাল রাতে তার শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয়। ভোরে নিজ ঘরের আড়ার সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাননিউজ/আরপি