আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির গরু প্রস্তুতিতে খামারীদের ব্যস্ততা ক্রমেই বাড়ছে। গরু মোটাতাজা করার পাশাপাশি চলছে আকর্ষণীয় গরু প্রস্তুত করার প্রতিযোগিতা। এরইমধ্যে সাড়া ফেলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলহাজ্ব মো. মুসলিম মিয়া এগ্রো ফার্ম এর 'কালো পাহাড়'। গরুটির লাইভ ওয়েট ১ হাজার কেজি, আর দাম হাকিয়েছে ৮ লাখ টাকা।
বিশাল আকারের গরু ‘কালো পাহাড়’ ইতোমধ্যেই স্থানীয়দের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে গরুটির ছবি ও ভিডিও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উত্তর পৈরতলার দাড়িয়াপুর গ্রামে অবস্থিত এ খামারটি ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকেই খামারটি স্বাস্থ্যসম্মত ও প্রাকৃতিক ভাবে গরু মোটাতাজা করার দিকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে বলে জানা যায়।
খামারের পরিচালক মো. সুজন মিয়া বলেন, “আমাদের ফার্মের প্রতিটি গরুই প্রাকৃতিক খাদ্যে লালিত-পালিত। কোনও ইনজেকশন বা ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করি না। কোরবানির জন্য যারা নিরাপদ ও প্রকৃত অর্থে হালাল পশু খুঁজছেন, তাদের জন্য আমাদের খামার হতে পারে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।”
বর্তমানে খামারে রয়েছে মোট ৪৫টি গরু, যার মধ্যে দেশি জাতের ষাঁড়, শাইওয়াল (পাকিস্তানি ও ভারতীয় শংকর জাত), ফ্রিজিয়ান (দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনে উপযোগী), সাহিওয়াল-ফ্রিজিয়ান শংকর, ইন্ডিয়ান বলদ (হরিয়ানা জাতের বকনা ও বলদ), দেশি বলদ, দেশি-সংকর ষাঁড় রয়েছে। প্রতিটি গরুই স্বাস্থ্যবান এবং ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ওজনভেদে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। খামারের ৩৮০ থেকে ৪৫০ কেজি ওজনের গরু প্রতি কেজি ৪৯০ টাকা এবং ৫০০ থেকে ৭০০ কেজি ওজনের গরু প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা লাইভ ওয়েট ধরা হয়েছে।
সাননিউজ/ইউকে