ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশ

সাংবাদিক-পুলিশকে মারধর, চেয়ারম্যান গ্রেফতার

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবি

শনিবার (১১ মে) রাত ৮ টার দিকে রাজধানীর শাজাহানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন। মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি তিনি রাজধানীর শাহজাহানপুরে একটি বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন।

গতকাল রাত ৮ টার দিকে গোয়েন্দা ও থানা পুলিশের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে সেখানে তাকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম গোলজার হোসেন। তিনি দৈনিক মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি এবং মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি। এর আগে গত বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনে সকালে তার ওপর হামলা হয়।

মামলা এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু, তার ভাই গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক ও ভাতিজা তানভীর হকরা ওই ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হচ্ছিলেন।

এ সময় ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য সোহেল রানা তাদেরকে সরে যেতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল হকের নির্দেশে পুলিশ সদস্য সোহেলকে মারধর শুরু করেন তার ভাতিজা তানভীর এবং তাদের লোকজন।

আরও পড়ুন: গজারিয়ায় পুলিশ-সাংবাদিককে মারধর

ওই ঘটনার সময় পাশ থেকে ছবি ও ভিডিও করছিলেন গোলজার হোসেন। পরে তারা গোলজারের ওপর হামলা করেন। তার মুঠোফোন, পকেটে থাকা টাকা, আইডি ও পর্যবেক্ষক কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করতে থাকেন। পরে অন্য সাংবাদিকেরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।

পরবর্তীতে সাংবাদিকেরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখানে তাদের মারধরের জন্য তেড়ে আসেন মনিরুল হক ও তার লোকজন। পরে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে মনিরুল হক ও তার লোকজন সাংবাদিকদের হাত কেটে ফেলার হুমকি দেন।

একই দিন হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দখল ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সীল মারেন মনিরুল হকের লোকজন। পুলিশ বাঁধা দিলে তাদের উপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় মিঠুরা। এ সময় পুলিশের ২ সদস্যকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে তারা।

আরও পড়ুন: চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১

এ ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) পুলিশ ও সাংবাদিক গোলজার হোসেন আলাদাভাবে বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল হককে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করে। এ দুটি মামলায় ২১৮ জনকে আসামি করা হয়।

এদিকে সাংবাদিক গোলজার হোসেনের উপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার (১১ মে) দুপুরে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকরা। কর্মসূচিতে সব আসামিদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান জেলার সংবাদকর্মীরা।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান !

নেপালে তীব্র বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা পদত্যাগের পর দেশটিতে অন্ত...

জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শ...

নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ, বাংলাদেশ দলের ফ্লাইট স্থগিত, হোটেলেই ফুটবলাররা

নেপালে ‎স্থানীয় সময় আজ দুপুর ৩টায় টিম হোটেল থেকে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিম...

এলইডি স্ক্রিন চালু, ভোট গণনা দেখছেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে...

আগে থেকেই সাদিক কায়েমের ব্যালটে ভোটের অভিযোগ রূপাইয়া’র

ডাকসু নির্বাচনে টিএসসির কেন্দ্রে পূর্বে ক্রস দেওয়া ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা