স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর মুরগি, খাসি ও গরুর মাংসের দাম চড়া থাকায় ক্রেতা কম আর মাছের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।
আরও পড়ুন : গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীতে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই বাড়তি যাচ্ছে ব্রয়লার-সোনালি-লেয়ার মুরগির দাম। পাশাপাশি গরু-খাসির মাংসেও বাড়তি দর, ফলে এসব মাংসের দোকানে ক্রেতা কমে গেছে।
ঈদের পর পর হওয়ার কারণে বাজারে সব ধরনের মাংসের চাহিদা কমেছে। তবে মাছের বাজারে ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং মাছের বিপুল পরিমাণ চাহিদা বেশি দেখা গেছে। এদিকে চাহিদা বেশি হওয়ায় সুযোগে মাছের দামও তুলনামূলক বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
এদিন বাজারের অধিকাংশ দোকানে ৮০০ টাকায় গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
অপরদিকে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, সোনালি মুরগি ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং কক লেয়ার (লাল) প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতাদের মাঝে ঈদের পর মাছের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন : স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা
যেমন- চাষের কই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, পাঙাস মাছ প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, তেঁলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা, পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, ট্যাংরা মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মগবাজার রেলগেট সংলগ্ন বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর ঢাকায় এসে আজ প্রথম বাজার করতে এসেছি। ঈদের সময় সবার বাসায় মাংসের আয়োজন থাকে তাই এখন সবার মাছ খাওয়ার প্রতি একটা চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন : সিফুড নিতে বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান
সে লক্ষ্যেই মাছ কিনতে এসেছি কিন্তু এসে দেখলাম আজ সব ধরনের মাছের দাম বেশি। অপরদিকে মুরগি, গরু, খাসির মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। যে কারণেই মনে হয় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের গরুর মাংসের বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ বাজারে মাংসের ক্রেতার সংখ্যা কম। কারণ ঈদের পর পর খুব প্রয়োজন ছাড়া ক্রেতারা মাংস কিনে না।
আরও পড়ুন : শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
যাদের বাসায় আত্মীয়-স্বজন আসে বা কারও বাসায় কোন অনুষ্ঠান থাকলে কেবল তারা মাংস কিনে। তাই এই কয়েকদিন মাংস বিক্রি কিছুটা কম হবে।
একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা লিটন বলেন, ঈদের পর ব্রয়লার-সোনালিসহ অন্যান্য মুরগি দুই খাঁচি এনেছিলাম। কিন্তু এই কয়দিনে সব মুরগি বিক্রি করতে পারিনি। বাজারে মুরগির ক্রেতার সংখ্যা এখন কম।
আরও পড়ুন : শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
তবে এখন সব মুরগি বিক্রেতাদেরই ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। ঈদে যেহেতু সবাই মাংস খায় তাই ক্রেতাদের চাহিদা এখন মাছের দিকেই বেশি।
ঈদের পর পর তাই এখন কেউ মুরগি কিনছে না জানিয়ে তিনি বলেন, দুই চারদিন গেলে এরপর বাজার ভালো হতে পারে।
সান নিউজ/এইচএন