ক্রীড়া প্রতিবেদক : শুরুতে দাপট দেখালেন টাইগার বোলাররা। ৭.৪ ওভারের মধ্যেই তুলে নেন আফগানদের ৪ উইকেট। প্রথম ১০ ওভারে আফগানিস্তানের রান ছিল ৬২ কিন্তু শেষে মোহাম্মদ নবি আর আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের এক জুটিতেই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়ে যায় আফগানরা। ৭ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১৫৪। অর্থাৎ জিততে হলে ১৫৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
আরও পড়ুন : ইতিহাস গড়া হল না ইমরানুরের
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন টাইগার অধিনায়ক। দ্বিতীয় ওভারটি করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। এরপর তৃতীয় ওভারে
আবারও নাসুমের হাতে বল তুলে দেন সাকিব। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দেন এই স্পিনার। তুলে নেন হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের (১০ বলে ৮) উইকেট। নাসুমের বলে স্কয়ার লেগে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন জাজাই।
পরের ওভারে তাসকিনের আঘাত। ডানহাতি এই পেসারের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দেন আগে জীবন পাওয়া গুরবাজ (১১ বলে ১৬)। এরপর শরিফুল ইসলাম নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই তুলে নেন ইব্রাহিম জাদরানকে (৬ বলে ৮)। আগের বলে ছক্কা হাঁকানো জাদরান ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে। ৩২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে তোলে মোটে ৪০ রান।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সহজ জয়
পরের দুই ওভার দেখেশুনে খেলেছে আফগানরা। অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটর দেখা পান সাকিব। টাইগার অধিনায়ককে ওপরে খেলতে গিয়ে মিডঅফে ধরা পড়েন করিম জানাত (৯ বলে ৩)। দৌড়ে এসে ক্যাচটি তালুবন্দী করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সেখান থেকে ৩৬ বল খেলে ৩১ রানের ধীরগতির এক জুটি গড়েন মোহাম্মদ নবি আর নাজিবুল্লাহ জাদরান। ১৪তম ওভারে এই জুটিটি ভাঙেন মিরাজ। টাইগার অফস্পিনারের বল নাজিবুল্লাহর (২৩ বলে ২৩) ব্যাট ছুঁয়ে গেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন লিটন। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানরা।
আরও পড়ুন : ভারতকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা
তবে এরপর নবি আর আজমতুল্লাহ ওমরজাই দারুণ জুটি গড়েন। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ৩১ বলে ৫৬ রান এনে দেন আফগানদের। ১৯তম ওভারে ওমরজাই সাকিবকে টানা দুই ছক্কা হাঁকান। ওই ওভারেরই শেষ বলে আরেকটি বিগ হিট নিতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে তাসকিনের ক্যাচ হন এই ব্যাটার। তার ১৮ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও আফগানদের বিপর্যয় দারুণ কাটিয়ে দেয়। শেষদিকে হাত খুলে মারতে থাকেন নবিও। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে তিনি ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন সাকিব। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ, শরীফুল, নাসুম ও মিরাজ।
সান নিউজ/জেএইচ
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            