স্পোর্টস ডেস্ক : হ্যাঁ, না- করতে করতে শেষ পর্যন্ত হয়তো ‘হ্যাঁ-ই হতে যাচ্ছে।’ অর্থাৎ প্রস্তাবিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি শেষ পর্যন্ত হয়তো করপোরেট লিগই হতে যাচ্ছে। রোববার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ হয়তো জানা যাবে, কোন কোন করপোরেট হাউজ উৎসাহী টিম স্পন্সর হতে। আগেই জানা বিসিবি গত কদিন আগেই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল টিম স্পন্সর চেয়ে। রোববার বিকেল ৫টায় সেই আগ্রহী টিম স্পন্সরদের আবেদন করার শেষ সময়। বিসিবির উচ্চপর্যায়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, করোনাকালীন প্রথম দিকে তেমন উৎসাহ না থাকলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে স্পন্সরের জন্য আগ্রহী করপোরেট হাউজের সংখ্যা বাড়ছে।
জানা গেছে, দেশের অন্যতম দুই শীর্ষ করপোরেট হাউজ বেক্সিমকো আর জেমকন গ্রুপ আগেই উৎসাহ দেখিয়েছে এবং ধরেই নেয়া যেতে পারে যে, বেক্সিমকো আর জেমকন গ্রুপ টিম স্পন্সর হতে যাচ্ছে। এছাড়া বরিশাল গ্রুপও একটি দলের স্পন্সর হতে আগ্রহী। জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের কোটায় বিসিবির অন্যতম পরিচালক আলমগীর হোসেন আলো বরিশাল গ্রুপের হয়ে টিম স্পসর হতে অগ্রণী ভূমিকায়।
এছাড়া চট্টগ্রামের আখতার গ্রুপের কথাও শোনা গিয়েছিল। তবে শেষ খবর, আখতার গ্রুপ নাকি স্পন্সরশিপের জন্য আবেদন করছে না। অন্যদিকে দেশ প্রসিদ্ধ ওষুধ বাজারজাতকারী সংস্থা ইনসেপ্টাও নাকি স্পন্সর হতে উৎসাহী। এদিকে তেমন সাড়া না জাগলেও ভেতরে ভেতরে চলছে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সব প্রস্তুতি। নির্বাচকরা বসে গেছেন খেলোয়াড় তালিকা চূড়ান্ত করতে।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, তারা এখনো নিশ্চিত নন কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় হবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট? যদি পুরোপুরি করপোরেট লিগ হয়, তাহলে অবশ্যই প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। তা না হলে প্রেসিডেন্টস কাপের মতো নির্বাচকরাই পাঁচ দলের খেলোয়াড় তালিকা তৈরি করে দেবেন। প্রধান নির্বাচক আরও জানান, ‘এ’, ‘বি ’ ও ‘সি’- এই তিন ক্যাটাগরিতে হচ্ছে খেলোয়াড় তালিকা। নান্নু বলেন, ‘আমরা দুভাবেই কাজ এগিয়ে রাখছি। যদি ড্রাফট হয়, তাহলে আমরা ক্যাটাগরি অনুযায়ী খেলোয়াড় তালিকা সাজিয়ে দেব। তা না হলে আমরাই পাঁচ দল সাজিয়ে দেব।
সান নিউজ/পিডিকে