৮৪ মিনিট পর্যন্তও ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল পিএসজি। টটেনহাম বোধ হয় শিরোপায় এক হাত দিয়েই ফেলেছিল! কিন্তু কে জানত, নাটকের তখনো অনেক বাকি। পরের মিনিটেই গোল করেন বদলিতে নামা পিএসজির দক্ষিণ কোরিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার লি কাং–ইন।
উদিনের ব্লুনার্জি স্টেডিয়ামে তখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে বিভোর পিএসজি। যোগ করা সময়ের ৪ মিনিটে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন মাঠে নামা আরেক বদলি। হেডে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোসের গোলে ৯৪ মিনিটে ২–২ গোলে সমতায় পিএসজি!
ম্যাচ তারপর সরাসরি টাইব্রেকারে। যেখানে টটেনহাম হটস্পার্সকে ৪–৩ গোলে হারিয়ে ফ্রান্সের প্রথম ক্লাব হিসেবে উয়েফা সুপার কাপ জিতল পিএসজি। আর টটেনহাম গত মে মাসে ইউরোপা লিগ জয়ের পর তিন মাসের মধ্যে আরেকটি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ের সুযোগ হারাল।
নতুন কোচ টমাস ফ্রাঙ্কের অধীন এটা ছিল টটেনহামের প্রতিযোগিতামূলক প্রথম ম্যাচ। ৩৯তম মিনিটে ডাচ সেন্টারব্যাক মিকি ফন দে ফেন গোল করে দলকে এগিয়ে দেন টটেনহামকে। বিরতির ৩ মিনিট পর ৪৮ মিনিটে টটেনহামের হয়ে দ্বিতীয় গোলটিও ডিফেন্ডারের। আর্জেন্টাইন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো হেডে গোল করেন পেদ্রো পোরোর ফ্রি–কিক থেকে।
গোলটি ঠেকাতে পিএসজির লুকাস শেভালিয়ের কৌশলগত কোনো ভুল করেছেন কি না, সে প্রশ্ন ম্যাচ চলাকালেই উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি। ফন দে ফেনের গোলটি ফিরতি শটে।
গত জুলাইয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসির কাছে হারা পিএসজি ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু করে ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া লি কাং–ইনের দুর্দান্ত শটে করা গোলে, যার শেষটা রামোসের হেডে করা গোলটি দিয়ে। পেনাল্টি শুটআউটে শুরুটা ভালো ছিল না পিএসজির। প্রথম শটেই ভিতিনিয়া বল পোস্টের বাইরে মারেন।
সাননিউজ/এসএ