ফাইল ছবি
জাতীয়

কক্সবাজারে ট্রেন যাবে অক্টোবরে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, চলতি বছরের অক্টোবরেই ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ চালু হবে।

আরও পড়ুন: কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় আপস করব না

মঙ্গলবার (১৬ মে) কক্সবাজারের ঝিলংজায় দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।

চলমান প্রকল্পে এরইমধ্যে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাকি ১৬ শতাংশ কাজ দ্রুত শেষ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।

রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্টোবরেই এ রেলযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলে আশা রাখছি। এটি চালু হলে দেশের পর্যটনখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে রেল।

আরও পড়ুন: ভোগের রাজনীতি শিখিনি

এদিকে, চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের প্রধান আকর্ষণ দেশের প্রথম আইকনিক রেলস্টেশন। বিশাল আকৃতির একটি ঝিনুকের পেটে মুক্তার দানা, তার চারপাশে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি- এ আবহের মাঝেই আসবে ট্রেন। দৃষ্টিনন্দন আধুনিক এ স্টেশন উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরের মতো দেখাবে। দেশের প্রথম আইকনিক রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ এখন শেষ পর্যায়ে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার অংশের ৫০ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম অংশের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ২৫ কিলোমিটারের কাজ শেষ এবং বাকি ২৫ কিলোমিটারের কাজ আগস্টের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। সবমিলিয়ে রেললাইন পুরোপুরি চালু হলে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে পর্যটনশিল্পে। অক্টোবরে পর্যটননগরী কক্সবাজারে সেই নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চলমান ২৫ কিলোমিটারের কাজ শেষ করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি। এ ২৫ কিলোমিটারের মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু স্লিপার আর রেল বিট বসবে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর এই দুই মাসে ফিনিশিং ওয়ার্কসহ অবশিষ্ট কাজ শেষ করে অক্টোবরে ট্রায়াল রান উদ্বোধন করতে পারবো বলে আশা করছি। প্রথমত, আমরা এক জোড়া ট্রেন দিয়ে হলেও চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে রেলের এ মেগা প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এই মেগাপ্রকল্পের দোহাজারী-কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার। এরমধ্যে দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি কাজ করছে। অপরদিকে, চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড দুই ভাগে রেললাইন নির্মাণ কাজটি করছে। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড যে অংশে কাজ করেছে তাদের সেই অংশের কাজ খুব দ্রুত শেষ হয়েছে। এখন তমা কনস্ট্রাকশনের অংশের কাজ চলছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চকরিয়া থেকে কক্সবাজার অংশে ২০টি সেতুর মধ্যে ১৮টির কাজ শেষ হয়েছে। দোহাজারী-চকরিয়া অংশে ১৯টি সেতুর মধ্যে সাঙ্গু নদীর ওপর একটি, মাতামুহুরী নদীর ওপর দুটি এবং বাঁকখালী নদীর ওপর একটি বড় রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর নির্মাণকাজ শেষপর্যায়ে।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাস চাপায় চুয়েট...

রাজধানীতে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাঁখা...

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে না ছুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবহাওয়া অধিদপ্...

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসে তিন...

রংপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়

রংপুর প্রতিনিধি : সারাদেশের মতো র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা