নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ইয়াবা, এক জোড়া হ্যান্ডকাফ, ডিবি পুলিশের দুইটি জ্যাকেট, একটি ওয়াকিটকিসহ পুলিশি সরঞ্জাম, তেরটি মোবাইল ফোন ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুইটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার হারুনুর রশীদ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইমদাদুল শরীফ, খােকন, মাসুদুর রহামন তুহিন, মামুন শিকদার, কমল হােসেন, ওয়াহিদুল ইসলাম, ফারুক বেপারী ও মতিউর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ডাকাতি ও মাদকদ্রব্য আইনে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উপ-কমিশনার হারুনুর রশীদ জানান, র্যাব ও ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঢাকা মহানগরী ও এর আশেপাশের এলাকায় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের জোরপূর্বক প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে এই অপকর্ম করে আসছিল বেশ কয়েকটি ডাকাত ও ছিনতাইকারী দল। এমন একটি ডাকাত দল মতিঝিল এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাই করতে যাচ্ছে বলে তথ্য পায় গােয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে অভিযান চালিয়ে উপস্থিত জনতার সহায়তায় নয়জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা ব্যাংকের কাছে দাঁড়িয়ে নগদ টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করে। পরে ওই ব্যক্তিকে অনুসরণ করে সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছানোর পর ডিবি’র জ্যাকেট পরা অবস্থায় ওয়াকিটকি হাতে সেই ব্যক্তির গতিরােধ করে। পরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নগদ টাকা বহন করা ওই ব্যক্তিকে হাতকড়া পরিয়ে ও গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নেয়।
এক পর্যায়ে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থাকা টাকা পয়সা, মােবাইল ফোন ও মূল্যবান সামগ্রী জোরপূর্বক কেড়ে নেয়া হয়। এছাড়া ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে কখনও কখনও সাভার-আশুলিয়া, বেড়িবাঁধ, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তার ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেও টাকা হাতিয়ে নেয়া হতো। এ সময় কোনো ব্যক্তি চিৎকার-চেঁচামেচি করলে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হতো।
সান নিউজ/এমকেএইচ