নিজস্ব প্রতিবেদক: চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার মাসুদুর রহমান ও বার্তা সম্পাদকসহ চার জনের নামে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমের ছেলে মুশফেক আলম সৈকত।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে সোমবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে প্রতিমন্ত্রীর পরিবার নিয়ে অসত্য ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
তবে এজাহারে রিপোর্টারের নাম লেখা হলেও বার্তা সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলার অপর দুই আসামি হলেন মুশফেক আলম সৈকতের সাবেক স্ত্রী তাসনোভা ইকবাল ও শাশুড়ি নাজমা সুলতানা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী সৈকতের সঙ্গে তাসনোভার বিয়ের পর ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম গ্রহণ করেন। এরপর স্ত্রী তাসনোভা পড়াশোনার জন্য স্বামী-সন্তানসহ মালয়েশিয়া যান। তবে সে দেশে ‘ফ্রি স্টাইলে’ চলাচল করবেন বলে স্বামী-সন্তানকে দেশে ফিরে যেতে বলেন।
এরপর প্রতিমন্ত্রী বাবার খরচে বাদী সৈকত তার সন্তানকে নিয়ে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দেশে ফিরে আসেন। এর ১১ মাস পর তাসনোভা দেশে ফিরে আসেন। তবে দেশে ফিরে সন্তানের সঙ্গে দেখা না করে ‘এখানে-সেখানে’ ঘুরে বেড়াতে থাকেন। পরে চলতি বছরের ২৬ আগস্ট তাদের তালাক রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।
এজাহারে অভিযোগ হয়, তালাক নিয়ে বিষয়টি আদালতে গড়াই পূর্বের মামলা বিচারাধীন অবস্থায় গত ২২ অক্টোবর চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে প্রকৃত ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে’ এবং প্রকৃত সত্য ‘গোপন করে’ সৈকত ও তার একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বাবা শামসুল আলমকে ‘হেয় করতে’ দুপুরের খবরে আসামিরা অসত্য বক্তব্য প্রকাশ করেন। এতে সৈকত ও তার প্রতিমন্ত্রী পিতার মানহানি ঘটেছে উল্লেখ করে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ