জাতীয়

হোটেল মালিক থেকে কর্মচারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জামালপুরের একটি হোটেলে কাজ করেন মাহমুদুল হক মুন্না। মাস শেষে সামান্য যে পারিশ্রমিক পান, তা দিয়েই টেনেটুনে চলছে তাঁর ১৩ সদস্যের পরিবার। অথচ বছরখানেক আগেও একটি রেস্টুরেন্ট আর দুটি মনিহারি দোকানের মালিক ছিলেন মুন্না। তাঁর অধীন কাজ করেছেন ২০ জন কর্মচারী। কিন্তু একে একে তিনটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সেই রেস্টুরেন্ট মালিকই আজ হোটেলের কর্মচারী।

আলাপকালে অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই মাহমুদুল মুন্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি তো ডুবছি, পুরা ফ্যামিলিরেও ডুবাইছি। শুইয়া, বইসা টাকা কামাইতাম। সেই আমি এখন হোটেলে কাজ কইরা খাই।

তিনি জানান, গত বছর করোনার ধাক্কায় রেস্টুরেন্ট আর মনিহারি দোকানের ব্যবসায় বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হয় তাঁকে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মোটরসাইকেলের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। গত ১৮-২২ মে পর্যন্ত ই-অরেঞ্জের বেশ কয়েকটি ভাউচার কেনেন মাহমুদুল। পরিশোধ করেন ১১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সেই ভাউচার থেকে সাতটি বাইক অর্ডার করতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর পণ্য বা টাকা কিছুই আর পাননি।

এরপর ক্ষতি কিছুটা পোষাতে জুন মাসে আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমে ১২৫ সিসির চারটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন মুন্না। এ জন্য পরিশোধ করেছিলেন ৩ লাখ ২২ হাজার টাকা। বিনিময়ে শুধু চেকই পেয়েছেন তিনি; কিন্তু আগস্ট থেকে সেই চেক বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

মোটরসাইকেলের ব্যবসা দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন মুন্না। তাই ই-অরেঞ্জ ও কিউকমে বিনিয়োগ করে ব্যর্থ হয়ে গত ২৪ জুন দালাল প্লাসে দুটি পালসার ব্র্যান্ডের দুটি মোটরসাইকেল অর্ডার দেন তিনি। পরিশোধ করেন ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এর বদলে শুধু খুদে বার্তাই (এসএমএস) পেয়েছেন। যেখানে তাঁকে বলা হয়েছিল গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার হাজারীবাগ থেকে মোটরসাইকেল বুঝে নিতে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়েও তা পাননি তিনি।

কিউকম, দালাল ও ই-অরেঞ্জে মাহমুদুলের মোট বিনিয়োগ ১৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। তিনি জানান, সব টাকাই চড়া সুদে ঋণ নেওয়া। এই ঋণের টাকা শোধ করতে নিজের বাড়িও বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন থাকছেন ভাড়া বাসায়।

ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করার কথা জানিয়ে মাহমুদুল মুন্না বলেন, অভিযোগ করছি। কিন্তু তারা বলেই দিছে, এই অভিযোগ কইরা কোনো লাভ নাই। থানায় কেস করতে গেছিলাম, নেয় না। থানা থেকে বলে কোর্টে যান। কোর্ট থেকে বলে থানায় যান।

গ্রাহকদের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষের চারজনই বর্তমানে কারাগারে। প্রতিষ্ঠানটিও এখন অস্তিত্বহীন। আর কিউকম ও দালাল প্লাসের বিরুদ্ধেও আছে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এই প্রতিষ্ঠান দুটো থেকে দফায় দফায় গ্রাহকদের চেক দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকে নিয়ে গেলে সেই চেক হচ্ছে প্রত্যাখ্যাত। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়েও সুস্পষ্ট কোনো জবাব নেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের।


সাননিউজ/ জেআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ছুটি শেষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর চালু

মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:...

খাগড়াছড়িতে ৪১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

দীর্ঘতম আলপনায় বিশ্বরেকর্ড গড়ার উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়াটিক এক্সপে...

খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

শিবগঞ্জে তেলের গোডাউনে আগুন

জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি তেলে...

বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে সিহাব জমাদ্দার (১৫) নামে...

মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭

জেলা প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ...

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় বিদ্যুৎস্পৃষ...

কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি : বান্দরবানের রুমায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে...

বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ জনের 

জেলা প্রতিনিধি : মাদারীপুরের শিবচরে পৃথক বজ্রপাতে ২ জনের মৃত...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা