জাতীয়

শহরে পাঁচজনের একজন দরিদ্র

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: বাংলাদেশে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী জনসংখ্যার প্রতি পাঁচ জনে একজন দরিদ্র। তবে শহরের প্রায় ১৯ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হলেও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় রয়েছে ১১ শতাংশ মানুষ।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সঠিক ব্যবহার দারিদ্র্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে। সঠিক উপকারভোগীর কাছে এই কর্মসূচি পৌঁছে দেয়া গেলে দারিদ্র্যের হার ৩৬ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নেমে আসবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল প্রোটেকশন পাবলিক এক্সপেন্ডিচার রিভিউ’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, যা প্রতিনিয়ত দরিদ্র পরিবারগুলোকে সুবিধা দিয়ে আসছে। এ কর্মসূচি আরও উন্নত ও বিস্তৃত করে দেশের দারিদ্র্য আরও কমানো যেতে পারে। প্রতিবেদনে সামাজিক সুরক্ষার প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত বিনিয়োগ, এ খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের পরিকল্পনা ও সেবাসহ বিদ্যমান কাঠামোতে কীভাবে উন্নতি করা যায় তা তুলে ধরা হয়েছে।

বলা হয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলি মূলত গ্রামাঞ্চলে কেন্দ্রীভূত। তবে শহুরে জনসংখ্যার প্রতি ৫ জনে ১ জন দারিদ্র্যসীমায় বসবাস করছে। পাশাপাশি অর্ধেক পরিবার দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই গ্রামীণ ও শহুরে এলাকার মধ্যে বরাদ্দ পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে।

শহরের প্রায় ১৯ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হলেও সুরক্ষার আওতায় রয়েছে ১১ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক বলছে, গ্রামীণ অঞ্চলে সুরক্ষার আওতা দারিদ্রের হারের চেয়েও বেশি। গ্রামের ২৬ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হলেও নিরাপত্তা কর্মসূচি সেখানকার ৩৬ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছেছে। ন্যাশনাল হাউসহোল্ড ডাটাবেসের মতো সমন্বিত ডাটা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিক মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া যায়।

বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার (বাংলাদেশ ও ভুটানের) ডানডান চেন বলেন, গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়িয়েছে। এতে দেশের প্রতি ১০ পরিবারের মধ্যে তিনটিতে এই কর্মসূচি পৌঁছেছে। করোনা মহামারি আরও শক্তিশালী, দক্ষ ও অভিযোজিত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিয়েছে। তাই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সঠিক ব্যক্তিকে এই কর্মসূচর আওতায় আনতে হবে। ফলে বাংলাদেশ এ খাতে আরো সুফল পাবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালাইন কৌদুয়েল বলেন, শৈশবে বিনিয়োগ করা একটি শিশুকে স্বাস্থ্যকর হতে এবং প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে আরও উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করে। এভাবে প্রজন্ম ধরে দারিদ্র্যের চক্র ভেঙে দেয়।

সান নিউজ/এফএআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শাপলা নয় এনসিপিকে বালতি-বেগুনসহ ৫০ প্রতীকের অপশন

শাপলা প্রতীক নয় বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টি প্রতীক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এন...

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯৬

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এইডস ম...

আ. লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজ...

লুটপাটের ভিডিও করায় সাংবাদিককে হেনস্তা 

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধ...

গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক, নিরাপত্তার দাবি জামায়াতের

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করার ঘটনায় ইসরায়েলের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার তীব্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা