ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সকল হলে বিজয় দিবস উপলক্ষে খাবারের টোকেনে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন মূল্য নির্ধারণ করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) লালন শাহ হলের নোটিশ অনুযায়ী বিজয় দিবসের বিশেষ খাবারের টোকেনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে— আবাসিকদের জন্য ৬০ টাকা এবং অনাবাসিকদের জন্য ১০০ টাকা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনাবাসিকদের বেশি টাকা নির্ধারণ করা অন্যায্য এবং এটি নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি করছে। তারা অবিলম্বে টোকেনের মূল্য একীভূত করার দাবি জানিয়েছেন।
ইবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য রাফিজ আহমেদ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “যেই বৈষম্যের জন্য এত প্রাণ গেলো, তার পরও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে বৈষম্য চলছে। প্রশাসনের নিকট অনুরোধ— বিজয় দিবসের খাবারের টোকেনের মূল্য সংশোধন করে আবাসিক-অনাবাসিক সবার জন্য সমান মূল্য নির্ধারণ করুন।”
তিনি আরও বলেন, “অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও সমানভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ। যারা আবাসিক হওয়ার সুযোগ পাননি, তারা কেন বেশি মূল্য দেবেন? প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত বদলে সব হলে সমান মূল্য নিশ্চিত না করলে এর ফল ভালো হবে না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, “গতবারের থেকে জিনিসপত্রের দাম তো আর কমেনি। সেই হিসেবে মূল্য বাড়ানো যেত, কিন্তু আমি বাড়াতে দেইনি। প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ে একমতের ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফিস্টের মূল্য আবাসিক-অনাবাসিকদের জন্য লেভেল করা আসলে এখন সম্ভব না। তাছাড়া এটা গত বছরের ন্যায় হয়েছে।”
সাননিউজ/আরপি