ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারাও সংহতি জানান।
শিক্ষক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, গ্রীন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
এছাড়া ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও তালাবায়ে আরাবিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও মানববন্ধনে যোগ দেন।
উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এস. এম. সুইট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, তালাবায়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি শামীম প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘আজকে ৪ মাস ২৫ দিন— বিচার হবে কবে?; ১৪৫তম দিনেও কি প্রশাসনের টনক নড়ে না?; সাজিদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ কই?; তদন্ত ঠিক কত দূর?; স্যার প্লিজ সন্তান ডাকিয়েন না; ভাইয়ের লাশ কবরে, খুনি কেন বাইরে?; শিক্ষার্থীরা আপদ, খুনিরা নিরাপদ’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ হত্যার ১৪৫ দিন অতিবাহিত হলেও বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি নেই। প্রশাসন যদি বিচার করতে অক্ষম হয়, তবে তা পরিষ্কারভাবে জানানো উচিত। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।
ছাত্র সংগঠনের নেতারা প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত গ্রেফতারের সময়সীমা ঘোষণা করতে হবে। আর তা করতে না পারলে দায়িত্বশীলরা যেন ক্যাম্পাসে আরামে না থাকেন— সে ব্যবস্থা ছাত্ররাই নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
অন্যদিকে উপস্থিত শিক্ষক নেতারা বলেন, সাজিদ আব্দুল্লাহ ছিলেন ‘জুলাই যোদ্ধা’; আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এমন ঘটনায় শিক্ষক সমাজ নীরব থাকতে পারে না। তারা উল্লেখ করেন, হয় ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা হচ্ছে, না হলে প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দ্রুত সাজিদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
সাননিউজ/আরপি