দেশব্যাপী চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন। লক্ষ্মীপুরেও শিক্ষকরা আন্দোলন পালন করছেন। এদিকে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে মনোবল ভেঙে পড়েছে। শিক্ষকরা বলে দিয়েছেন— শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা হবে না। মুহূর্তে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসেন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ। একপর্যায়ে দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় পরীক্ষার সকল কার্যক্রম।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার পর থেকে লক্ষ্মীপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
জানা গেছে, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকরা চারটি দাবি ও অধিকার নিয়ে সরকারকে তিন কর্মদিবস সময় বেঁধে দিয়েছেন। (আজ) সোমবার থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে সারাদেশে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে দেখা দেয় উৎকণ্ঠা।
একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ। তিনি এসে সরাসরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শিক্ষক মিলনায়তনে গিয়ে বসে আড্ডা দেওয়া শিক্ষকদের শাসাতে দেখা যায়। পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষকদের প্রতি চাপ প্রয়োগ করেন।
কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানান, তারা বাড়ি থেকে পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। তারা অটোপাস চান না। তারা মেধার মূল্যায়নের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে উত্তীর্ণ হতে চান।
নারী অভিভাবকরা জানান, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হোক পাশাপাশি শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হোক।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ জানান, খবর পেয়ে স্কুলে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা চালু হয়েছে। দেশব্যাপী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি রয়েছে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে।
সাননিউজ/আরপি