মাদারীপুরে মাহবুবুর রহমান বাদল নামের এক সিনিয়র সাংবাদিককে ১৫ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান খানের বিরুদ্ধে।
অবরুদ্ধ থাকার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বাদল বৃহস্পতিবার সকালে তার অবরুদ্ধ বাসভবনে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তোলেন।
সাংবাদিকদের মাহবুবুর রহমান বাদল বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে এলাকায় বসবাস করছি। মাদারীপুর সরকারি কলেজের ভেতর দিয়েই আমি ও আমার পরিবার যাতায়াত করতাম। আমার বাড়ি কলেজের সঙ্গে সংলগ্ন। ৮–১০ বছর আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ ইটের তৈরি দেয়াল নির্মাণ করে। তখনকার অধ্যক্ষের কাছে আমি বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য একটি গেট রাখার অনুরোধ করলে তিনি আমাকে বের হওয়ার জন্য ছোট একটি পকেট গেট করে দেন। আমি এতদিন ওই গেট দিয়েই যাতায়াত করতাম। হঠাৎ করে গত ৪ ডিসেম্বর কলেজের অধ্যক্ষের নির্দেশে আমার যাতায়াতের পকেট গেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কলেজের অন্য পকেট গেট বন্ধ করার কথা থাকলেও সেগুলো বন্ধ না করে আমার যাতায়াতের একমাত্র গেটটি বন্ধ করা হয়।
এরপর আমি ও জেলার কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে গেটটি খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু অধ্যক্ষ আমাদের অনুরোধ রাখেননি। গেটটি বন্ধ থাকায় আমার পরিবারসহ চারটি পরিবার অবরুদ্ধ অবস্থায় জীবনযাপন করছি। কোনো উপায় না পেয়ে অন্য মানুষের বাড়ির ওপর দিয়ে এখন যাতায়াত করছি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, দ্রুত যেন আমার যাতায়াতের গেটটি কলেজ কর্তৃপক্ষ খুলে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে মাদারীপুরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। আমি বিটিভিতে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছি। বর্তমানে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। এছাড়াও আমি একটি সাংবাদিক সংগঠনের সভাপতি।
মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান খান বলেন, আমরা কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখিনি। কলেজের নিরাপত্তার স্বার্থে গেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলেজের আরও কয়েকটি পকেট গেট আছে, সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সাননিউজ/আরআরপি