নিজস্ব প্রতিবেদক: কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে নিম্ন আয়ের ৪০ শতাংশ মানুষ তিন বেলা ঠিকমত খাবার জোগার করতে পারছেন না। ৭০ শতাংশ মানুষ পরিমাণে কম খাচ্ছেন। পাশাপাশি নারীদের কাজের চাপ অন্য সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
বেরসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত এক জরিপে মঙ্গলবার (২৯ জুন) এ তথ্য প্রকাশ হয়েছে।
জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ বলেছেন, অভাবের কারণে প্রোটিন জাতীয় খাবার পরিমাণে কম খেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে আরও দেখা যায়, মহামারীর কারণে নারীদের কাজের চাপ ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৩ শতাংশ হয়েছে।
এক ওয়েব সেমিনারে এই জরিপের ভিত্তিতে তৈরি গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলে ১ হাজার ৬৪ জন খানায় এই জরিপ পরিচালনা করেন গবেষকরা।
২০২০ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ‘কোভিড- ১৯ সৃষ্ট জীবিকার সংকট, সামাজিক সংহতি চ্যালেঞ্জ ও প্রশমন ব্যবস্থা’ শীর্ষক জরিপ পরিচালনা করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে)।
জরিপে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন- পোশাক শ্রমিক, শহরাঞ্চলে কর্মরত বিভিন্ন পেশার বিশেষত অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিক (গৃহপরিচারিকা, দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা, সেবাখাতে নিযুক্ত নিম্ন আয়ের শ্রমিক) এবং বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীরা।
সিপিজের গবেষক সানাউল মোস্তফা ও শহিদুল ইসলাম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
জরিপে অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, মহামারীর কারণে তাদের এই আর্থিক ক্ষতি কাটাতে সরকারের সহায়তা করা উচিত।
শুধু ১৬ ভাগ উত্তরদাতা এই অতিমারীর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবেন বলে উত্তর দিয়েছেন।
গবেষকরা বলেন, করোনাকালে নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে শহরাঞ্চলের অনানুষ্ঠানিক শ্রমিক এবং দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিক সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের আয় এক তৃতীয়াংশ কমে যাওয়ায় তারা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন এবং ব্যাংক ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক উৎস থেকে তারা কোনো ঋণ সুবিধা পায়নি।
সান নিউজ/এমআর