সান নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মকবুল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : নয়াপল্টনে সংঘর্ষ
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পৌনে ৪টার দিকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মকবুলকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : জনসভায় নেতাকর্মীদের ঢল
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির পকেটে থাকা মোবাইল ফোন থেকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার নাম মকবুল হোসেন বলে জানা যায়।
সংবাদ মাধ্যমকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, নয়াপল্টন থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : ২৪ ডিসেম্বরের আগে ছাত্রলীগের কমিটি
নয়াপল্টনে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল ছুড়েছে পুলিশকে লক্ষ্য করে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় দলটি। অপরদিকে সরকার নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ।
আরও পড়ুন : সর্বত্র পাহারা দেওয়ার নির্দেশ
ডিএমপির পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমাবেশ করতে নারাজ বিএনপি।
এদিকে, নয়াপল্টনে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সান নিউজ/এইচএন