সান নিউজ ডেস্ক: ফের ড. কামাল হোসেনকে গণফোরামের সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির কথায় কান দেবেন না
এ সময় কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ, ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, এ আর জাহাঙ্গীর, নাজমুল ইসলাম সাগর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জানা গেছে, কাউন্সিলে ড. কামালকে ফোরামের নতুন সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে উপস্থিত ফোরামের সদস্যরা সে প্রস্তাবে সমর্থন জানান। ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিযুক্তের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্য সদস্যদের তালিকা নির্ধারণে ২০ সদস্যের একটি সাবজেক্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আলোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাছাইয়ে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চ থেকে পুরোদমে ক্লাস
এদিকে, গণফোরামের কাউন্সিলকে ঘিরে দলটির বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কামাল হোসেনের অংশ কাউন্সিলের আয়োজন করে, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন অন্য অংশ প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয়।
এর মধ্যে সকালে ড. কামাল হোসেনের অংশের গণফোরাম কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময়ে অন্য অংশের নেতা-কর্মীরা প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে কাউন্সিলে হামলা করে। তারা চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি কাউন্সিলে আসা নেতা-কর্মীদের মারধর করে। পরে পুলিশ গিয়ে প্রেস ক্লাব থেকে মন্টু অংশের নেতা-কর্মীদের বের করে দেয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন সাকিব
এ সময় মন্টু অংশের কর্মীরা অভিযোগ করেন, কামাল হোসেনের অংশের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খানসহ এই অংশের নেতাকর্মীরা সরকারের দালাল। তারা সরকারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে গণফোরামকে বিভক্ত করেছে।
অন্যদিকে হামলার বিষয়ে মোকাব্বির খান জানান, তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিলের আয়োজন করেছেন।
আরও পড়ুন: এবার ডালের বাজারেও অস্থিরতা
কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তাব পাঠ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে ও দেশের মালিক জনগণকে বুঝাতে হবে যে, দুর্নীতি ও দুর্বিত্তায়িত রাজনীতি চললে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জোট গঠন করে অতীতের মত রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। কিন্তু জনগণের কল্যাণমুখী অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘তাই জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কল্যাণমুখী অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, গ্রেফতার ১
শফিক উল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারসমূহ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। অধিকার সচেতন জনগণকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্বলিত কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন করে আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্বলিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিম্নতম পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সংগঠনকে সুশৃংখল ও শক্তিশালী করতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি, নেতিবাচক রাজনীতির চিরবিদায় করতে হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ