নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাগারে থাকা অবস্থা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল কিনা প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি প্রশ্ন এ রাখেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, কামাল আনোয়ার আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল তিনি বলেন, যারা গুম-খুন করছে, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে; তাদের দ্বারা কোনো কিছু স্লো পয়জনিং অসম্ভব নয়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, মন্ত্রীরা চাইলেও একজনের কারণে বিদেশ যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া। মন্ত্রীরা বলছেন, জনগণ বলছে, সবাই বলছে বিদেশি চাপ আছে। কিন্তু তিনি কারও কথা শুনছেন না। শুধু প্রতিহিংসার কারণে তিনি কারও কথা শুনছেন না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতটাই অসুস্থ যে তাকে দেশে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শুধু নয়, তাকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠে-পড়ে লেগেছে সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, পরিত্যক্ত কারাগারে রেখে খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। হাসপাতালে রেখেও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় আজ দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।
ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গণতন্ত্রের সভায় বাংলাদেশের নাম না থাকায় তার প্রমাণ হয়েছে যে দেশে গণতন্ত্র নেই।
আন্দোলন-কর্মসূচি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে, সমাবেশ থেকে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়। এতে মির্জা ফখরুল কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, কৌশলগতভাবে কর্মসূচি পালন করতে হবে, সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে।
সান নিউজ/এনকে