নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ‘অরাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে এক দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব এ নিন্দা জানান।
ফখরুল বলেন, আমরা তো এখানে সবাই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য কামনা করার জন্য উপস্থিত হয়েছি মিলাদের মাধ্যমে। খালেদা জিয়া এ দেশের গণতন্ত্রের সঙ্গে একটা অবিচ্ছেদ্য নাম, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তার যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। আজকেও এ মুহূর্তে তিনি সেই সংগ্রামই করে চলেছেন।
আমাদের যে অবৈধ সরকার আওয়ামী লীগ, যেটি আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে, তার সাধারণ সম্পাদক খালেদা জিয়ার জন্মদিন সম্পর্কে একেবারে অরাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বিবর্জিত কথা বলেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টের দিন ভুয়া জন্মদিন পালন করে খালেদা জিয়া জাতির সঙ্গে প্রতিবছর তামাশা করেন। ম্যাট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ৯ আগস্ট ১৯৪৫, বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫, পাসপোর্ট সনদে ১৯ আগস্ট ১৯৪৫। আবার তিনিই দাবি করেন ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ তার জন্মদিন!
তিনি আরও বলেন, একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে খালেদা জিয়াই উন্মোচিত করেছেন। অবশেষে করোনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া তথ্যে জানা গেল খালেদা জিয়ার জন্মদিন ৮ মে ১৯৪৬।
খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা মামলায় যেটি ১/১১ অবৈধ সরকারের আমলে করা হয়েছিল, সেই মামলায় সাজা দিয়ে তাকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শুধু জনগণ থেকে দূরে রাখার জন্য, রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য তাকে অন্তরীণ করে রেখেছে। আমরা দেখেছি কী নিদারুণ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে তিনি প্রায় তিন বছর এই অন্তরীণ একটা অবস্থা অতিক্রম করছেন এবং এর মধ্যে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বলা হয়েছিল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার। সেটিও সরকার তাকে যেতে দেয়নি।
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে— জনগণের নেত্রী তাকে জনগণের সামনে আসতে না দেওয়া এবং তিনি যেন রাজনীতিতে সক্রিয় হতে না পারেন, সে জন্য ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত তারা করছে। আমরা বিশ্বাস করি এই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। তিনি আবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই যে ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানবীয় শক্তি দেশের মানুষের ওপর চেপে বসে আছে, তাদের পরাজিত করতে নেতৃত্ব দেবেন।
সাননিউজ/জেআই