বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে আব্দুস সালামের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিনিধিরা ঢাকা-১৭ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ঢাকা-১৭ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়।
দেশে ফেরার পর গত শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। গুলশান, বনানী ও বারিধারাসহ অভিজাত এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দলীয় পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল।
উল্লেখ্য, এক-এগারো পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান কারামুক্ত হয়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। সে সময় বিদেশে অবস্থানের কারণে তিনি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে তিনি দীর্ঘদিন দেশে আসতে পারেননি এবং ভোটার হওয়ারও সুযোগ পাননি।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারেক রহমান ঢাকা-১৭ আসনের পাশাপাশি তাঁর পৈতৃক এলাকা বগুড়ার সদর আসন (বগুড়া-৬) থেকেও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ইতোমধ্যে তাঁর পক্ষে উভয় আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পথে এগোচ্ছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময়সীমা আজ শেষ হচ্ছে। আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা।
ইতোমধ্যে দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে মোট ৩ হাজার ১১৪টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলার ২০টি আসনে সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৪৪টি মনোনয়নপত্র।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ৫ জনের বেশি ব্যক্তি উপস্থিত হলে কিংবা মিছিল বা শোডাউন করলে দেড় লাখ টাকা জরিমানাসহ সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করার বিধান রয়েছে।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলবে। এরপর ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। প্রচারণা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় দলটি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বাকি ৫৬টি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
সাননিউজ/আরআরপি