বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, দলের ভিতরে কোনো বিবাদ-বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছানো ঠিক হবে না যাতে তা প্রতিপক্ষের জন্য সুযোগ তৈরি করে।
গত ৩ নভেম্বর (রোববার) রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্যপদ গ্রহণের কর্মসূচিতে তারেক রহমান এ কথা বলেন। তিনি জানান, শিগগিরই দেশের বিভিন্ন আসনে দলের একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
তারেক বলেন, “পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন আসনে বিএনপির মনোনীত দলীয় প্রার্থীদের নাম আমরা জানিয়ে দেব। দল যাকে যে আসনে নমিনেশন দেবে, অনুগ্রহ করে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিজয়ী করতে কাজ করবেন। ধানের শীষ জিতলে আপনি জিতেছেন, বিজয়ী হবে দেশ এবং গণতন্ত্র।”
তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, “সারাদেশের বিএনপির লাখো-কোটি সমর্থক বিব্রত না হয়, এমন কোনো কাজ করবেন না। জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন।”
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করবে। তিনি যোগ করেন, বিএনপি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে যাতে গণতন্ত্রকামী জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে।
বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী বা সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “জনসমর্থিত এবং জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তবে প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।”
তারেক রহমান আরও বলেন, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে রাজপথে ছিলেন, তাদের প্রার্থীকেও সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “বিএনপির বিজয় ঠেকাতে পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দেখা যাচ্ছে।”
তিনি দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন, “জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। নির্বাচনের সময় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হলে গণতন্ত্রের উত্তোরণ সংকটপূর্ণ হতে পারে।”
সাননিউজ/এও