লাইফস্টাইল ডেস্ক : একবেলায় বেঁচে যাওয়া খাবারকে অন্য বেলায় বাসি বলা হয়। অনেক সময় আমরা বাসি খাবার পুনরায় গরম করে খাই। তবে বিষয়টি খুব একটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসি খাবার খাওয়ার ফলে শরীর দ্রুত খারাপ হতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, কোন বাসি খাবারগুলো শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর-
আরও পড়ুন : গরুর মাংস কতটুকু খাওয়া নিরাপদ
ভাত
বাঙালি প্রায় সব বাড়িতেই ভাত থাকে। আবার ভাত বেশি রান্না করা হলে তা রেখে দিয়ে পুনরায় গরম করে খাওয়া হয় অনেক বাড়িতেই। কিন্তু ভাত বাসি হলে তাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই খাবার পুনরায় গরম করতে নিষেধ করেন পুষ্টিবিদেরা। ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সির মতে, ভাত পুনরায় গরম করে খেলে ফুড পয়জনিং দেখা দিতে পারে।
ডিম
ডিম হলো প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস। সঠিক উপকার পেতে সেদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসকই। কিন্তু ডিম বাসি হলে তা গরম করে খাওয়া ক্ষতিকর। সেদ্ধ ডিম বা ডিমের রান্না করা তরকারি গরম করে খেতে যাবেন না।
আরও পড়ুন : ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ৬ লক্ষণ
মুরগির মাংস
ডিমের মতোই প্রোটিনের আরেকটি সেরা উৎস হলো মুরগির মাংস। এই মাংস খাওয়ার আছে অনেক উপকারিতাও। তবে বাসি মাংস খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। ফ্রিজ থেকে বের করার পর ঠান্ডা মাংস উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করে খাবেন না। এতে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আলু
আলু নানাভাবে খেতে পছন্দ করি আমরা। তবে আলুর তরকারি বাসি করে খাবেন না। এটিও বারবার গরম করে খেলে বিভিন্ন অসুখের কারণ হতে পারে। আলু রান্না বা সেদ্ধ করার পরে ঠান্ডা হওয়ার সময় তাতে বটুলিজম নামে একটি ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। পরে যখন তা আবারো গরম করা হয়; তখন এই ব্যাকটেরিয়া আরও বেড়ে গিয়ে ফুড পয়েজনিং পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন : মাছের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
নাইট্রেট যুক্ত সবজি
পালংশাকসহ যেকোনো সবুজ শাক, গাজর জাতীয় খাবারে প্রচুর নাইট্রেট থাকে। এসব খাবার পুনরায় গরম করা হলে কারসিনোজেনিক প্রপার্টিস নির্গত হয়। যে কারণে খাবার বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। পালং শাকে প্রচুর আয়রন থাকে। এই শাক ফের গরম করলে আয়রন অক্সিডাইস হয়ে যেতে পারে। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে।
মাশরুম
ইউরোপিয়ান ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিল-এর গবেষকরা জানান, এনজাইম ও মাইক্রোঅর্গানিজমস মাশরুমের মধ্যে প্রোটিনের উপাদান নষ্ট করে দেয়। সঠিক ভাবে রাখা না হলে বা রি-হিট করলে মাশরুম নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি, এতে পেট খারাপও হতে পারে। তবে ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখার পর ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মাশরুম গরম করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
সান নিউজ/জেএইচ