আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে একই পরিবারের ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : সোমালিয়ায় জাতিসংঘের হেলিকপ্টার আটক
সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লাকি মারওয়াতের শেখ নিয়াজি কুর্না তখতিখেল এলাকায় নাবালক শিশুসহ একই পরিবারের ১১ সদস্যকে তাদের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দুই ভাই, তাদের দুই স্ত্রী এবং তাদের ছয় শিশুসন্তানসহ নিহতদের দুই-তিন দিন আগে বিষপ্রয়োগ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় টর্নেডোতে নিহত ৩
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে সরদরাজের ছেলে সরদরাজ তাবেদার, তার স্ত্রী সওদানা বিবি, মেয়ে মুজলেফা ও বসরিনা বিবি এবং ছেলে আল্লাহ নূর ও আবদুল রহিম, পাশাপাশি সরদরাজের আরেক ছেলে আমালদার, তার স্ত্রী গুলদানা, ছেলে আমিরুল্লাহ এবং নাইফা ও নূরবানা নামে মেয়েরাও রয়েছেন।
তাবেদারের চাচা উমর গুল বলেন, তিনি তার ভাতিজার বাড়ির কাছে থাকতেন এবং বুধবার সকালে সেখানে গিয়ে তাদের শোবারঘর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান। তিনি আরও জানান, তাবেদারের ঘরের দরজা ভেঙে স্ত্রী ও সন্তানসহ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন : এ বছর ভোট দেবেন বিশ্বের অর্ধেক মানুষ
স্থানীয় এক বাসিন্দা ডনকে বলেন, নিহত ১১ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানান, জানাজায় গ্রাম ও অন্যান্য এলাকার লোকজন উপস্থিত হওয়ার পর নিহতদের স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরশাদ হুসেন শাহ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রাদেশিক পুলিশের মহাপরিদর্শককে তার কাছে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
সান নিউজ/এমআর