ছবি-সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

শিশুদের জন্য বিশ্বের বিপজ্জনক জায়গা গাজা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের শিশু সংস্থার (ইউনিসেফ) প্রধান ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, বিশ্বের মধ্যে শিশুদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় আছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ইসরায়েল-হামাসের সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তিও গাজার শিশুদের জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে খুব একটা সুবিধা বয়ে আনতে পারবে না।

আরও পড়ুন: গাজায় নিহত সাড়ে ১৪ হাজার ছাড়াল

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ইউনিসেফের প্রধান ক্যাথরিন রাসেল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানান, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৫ হাজার ৩০০ শিশু নিহত হয়েছে। যা মোট নিহতের ৪০ শতাংশ।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চল সফর শেষ করেছেন ক্যাথরিন। সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি উপত্যকাটিতে যা দেখেছি এবং শুনেছি তা অবিশ্বাস্য এবং ভয়াবহ।’

আরও পড়ুন: শুক্রবারের আগে বন্দিকে মুক্তি নয়

জিম্মিদের মুক্ত করার বিনিময়ে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউনিসেফ প্রধান। তবে রাসেল মনে করেন, শিশুদের বাঁচাতে এবং ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এ প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধের জন্য জরুরি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। হামলায় নিহত হয় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি। এছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। তবে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

ইউনিসেফ প্রধান আরও বলেন, গাজায় এখনও ১ হাজার ২০০ শিশুর খোঁজ মিলছে না। ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো তারা বোমা বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

আরও পড়ুন: ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির অনুমোদন

গাজায় অনবরত ইসরায়েলি বোমা এবং রকেট হামলায় শিশুরা খুবই মানবেতর অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উপত্যকাটির প্রায় ১০ লাখ শিশু খাদ্য সংকটে রয়েছে।

ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসে গাজায় শিশুদের তীব্র অপুষ্টির মাত্রা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাতালিয়া কানেম নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে গাজায় ডিসেম্বরে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ শিশু জন্মলাভ করবে। তবে তাদের জীবনের শুরু যেখানে আনন্দের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল সেখানে জীবন ও মৃত্যুর করুণ অবস্থার সাক্ষী হবে।’

সান নিউজ/টিও

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ১১০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন

মফস্বল ও প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা, হ...

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্রসহ চারজনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

মুন্সীগঞ্জে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীসহ চারজন প্রা...

বিপ্লবী হাদির জানাজা সম্পন্ন

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সম্...

কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে বিপ্লবী হাদির দাফন সম্পন্ন

ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণে।...

ঝালকাঠিতে শোকে স্তব্ধ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়ি

দক্ষিনের জেলা ঝালকাঠিতে শোকে স্তব্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হ...

আলফাডাঙ্গা কলেজে পরীক্ষা চলাকালে অস্ত্র হাতে মহড়া, গ্রেপ্তার যুবক

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজে স্নাতক সম্মান (ডিগ্রি) পরীক্ষা চলাকালে দেশীয়...

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্রসহ চারজনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

মুন্সীগঞ্জে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীসহ চারজন প্রা...

চাকসুর উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক–চবি’র কর্পোরেট চুক্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি কর্পোরেট...

সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সন্তান সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগঠন ‘ইনকিলাব ম...

বাজারে কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টির অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

বাজারে কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টির অপরাধে কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক ব্যবসায়ীকে জরিমান...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা