আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে নাইজার ছেড়েছেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সালভিন ইত্তে। গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অবরুদ্ধ করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ঐ সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েকদিন পর (আগস্টের শুরুতে) ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সালভিন ইত্তেকে নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দেয় সামরিক জান্তা। প্রথমে নির্দেশ না মানলেও শেষ পর্যন্ত নাইজার ছাড়তে হয় তাকে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় সংঘাতে ২৫ জনের মৃত্যু
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রদূত সালভিন ইত্তে পার্শ্ববর্তী দেশ চাদে চলে গেছেন ফ্রান্সের এক কূটনীতিক ও নাইজার সরকারের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ফরাসি দূতাবাসের সূত্রটি বলেছে, ‘রাত ৪টার দিকে ৬ সহকর্মীকে নিয়ে রাষ্ট্রদূত রাজধানী নিয়ামি ছেড়েছেন।’
অপরদিকে নাইজার সরকারের সূত্রটি বলছে, ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী বিমানটি নাইজার ছেড়ে চাদের দিকে গেছে।
আরও পড়ুন: ইরাকে অনুষ্ঠানে আগুন, নিহত ১১৩
গত শনিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেয়, নাইজার থেকে সালভিন ইত্তেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এছাড়াও নাইজারে অবস্থানরত সেনাদেরও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেন তিনি।
২৬ জুলাই ক্ষমতা দখলের পরই সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ফ্রান্স বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পায়। তার পর থেকেই সাধারণ জনতা ফরাসি সেনাদের নাইজার ছাড়ার দাবি জানিয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন: নেলসন ম্যান্ডেলার নাতনি আর নেই
নাইজার এক সময় ফ্রান্সের ঔপনিবেশ ছিল। ১৯৬০ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করলেও, নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে জঙ্গিবাদ দমনের নামে নাইজারে নিজেদের সেনা মোতায়েন করে ফ্রান্স। কিন্তু সামরিক জান্তা পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতাচ্যুত করেই ফ্রান্সের সেনাদের নাইজার থেকে তাড়িয়ে দিতে কাজ শুরু হয়।
এদিকে সালভিন ইত্তে আগস্টের শুরুর দিকে যখন দেশ ত্যাগের নির্দেশ মানেননি, তখন তার কূটনৈতিক ভিসাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাতিল করে দেয় সামরিক জান্তা। সূত্র: রয়টার্স
সান নিউজ/এএ