আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটির আমহারা অঞ্চলে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে টানা কয়েকদিন ধরে সহিংসতা চলছে। আর এ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় শুক্রবার (৪ আগস্ট) জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইথিওপিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন : পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে ৯ আগস্ট
প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নিয়মিত আইনি ব্যবস্থায় ভয়ঙ্কর কার্যক্রম দমন কঠিন হয়ে যাওয়ায় পর দেখা গেছে, দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা প্রয়োজন।’
তবে এই জরুরি অবস্থা পুরো ইথিওপিয়ায় নাকি শুধুমাত্র সংঘাতপূর্ণ আমহারায় কার্যকর হবে সেটি পরিষ্কার করে জানায়নি প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
জনসংখ্যার দিক দিয়ে আমহারা ইথিওপিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে এই অঞ্চলে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। মূলত স্থানীয় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফানো মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ইথিওপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (ইএনডিএফ)। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন : গুপ্তচরবৃত্তি, ২ মার্কিন নাবিক আটক
সেনাবাহিনী ও ফানোর সদস্যরা মঙ্গলবার ও বুধবার দেবরে তাবোরের কাছে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) আমহারার আঞ্চলিক সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে আরও সাহায্যের আবেদন জানায়।
আমহারার আঞ্চলিক সরকার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করেছে, ‘ফানোর সদস্যদের বিরুদ্ধে যেন যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ চিঠিতে আঞ্চলিক সরকার আরও বলেছে, ‘এসব সমস্যা সৃষ্টিকারীদের জন্য এখানকার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক বিষয়ের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন : জনগণ যেভাবে চাইবে, ভোট সেভাবেই হবে
জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় এখন সেনাবাহিনী রাস্তা আটকে দিতে পারবে, পরিবহণ ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে, সরকার কারফিউ জারি করতে পারবে এবং সেনাবাহিনী চাইলে নির্দিষ্ট এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে।
সান নিউজ/জেএইচ