আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্রমশ খাদ্য সংকট বেড়েই চলছে পূর্ব এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়ায় । কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, দেশটিতে কয়েকদিন পরেই খাবারের অভাবে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: ফতুর হতে চলেছে রাশিয়া!
সর্বশেষ ১৯৯০ সালে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ এ দেশটি। ওই বছর দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে প্রাণ হারিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। যা ‘আদরুস মার্চ’ নামে পরিচিতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই দুর্ভিক্ষের পর বর্তমানে খাদ্য সংকটের দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে দেশটি।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতিক বিশ্লেষক রেনগিফো-কেলার জানান, ‘বর্তমানে দেশটির খাদ্য সরবরাহ ‘মানুষের নিম্নতম প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে পরিমাণ প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক কম রয়েছে।’
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, বিশ্বে করোনা মহমারি শুরুর আগেই উত্তর কোরিয়ার প্রায় অর্ধেক মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছিলেন। মহামারি শুরুর পর দীর্ঘ তিন বছর সীমান্ত বন্ধ রাখা এবং বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার খাদ্য পরিস্থিতি যে এখন ভালো নয়, সেটি দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের একটি সিদ্ধান্তেই ওঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দলের চারদিনের এক বৈঠকে তিনি কৃষি খাতের উন্নতিসাধন ও ‘বড় পরিবর্তনের’ ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে আরও ৫০ কোটি ডলার দিল চীন
উত্তর কোরিয়ায় সরকারিভাবে চীন থেকে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য আসে, এরচেয়ে অবৈধভাবে আরও বেশি আসে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সরকার এর ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে। এছাড়া চীনের সঙ্গে থাকা সীমান্তে নতুন করে বেড়া দেওয়া হয়।
সান নিউজ/আর