সান নিউজ ডেস্ক : পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে সতর্ক করে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয় হলে তা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প বিষফোঁড়া হবে
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই সতর্কবাণী দিয়েছেন।
বর্তমানে দিমিত্রি মেদভেদেভ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে পারমাণবিক ক্ষমতাধর রাশিয়ার পরাজয় পারমাণবিক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।’
আরও পড়ুন: ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৯
মেদভেদেভ জানান, ‘পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো বড় ধরনের সংঘাতে কখনই হারেনি। কারণ এর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে।’
তিনি আরও বলেন, ন্যাটো এবং পশ্চিমের অন্যান্য প্রতিরক্ষা নেতারা শুক্রবার জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে বৈঠকে মিলিত হয়ে যুদ্ধের কৌশল ও ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করার পশ্চিমের প্রচেষ্টার সমর্থনের ব্যাপারে কথা বলবেন। তবে তাদের নীতির ঝুঁকির বিষয়েও চিন্তা করা উচিত।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র অনেক আগেই উদ্ধার হয়েছে
রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ। তাদের হাতে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পারমাণবিক ওয়ারহেডের দখল রয়েছে। রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেবল প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে রয়েছে।
প্রচলিত সামরিক শ্রেষ্ঠত্বে রাশিয়ার উপরে ন্যাটো থাকলেও পারমাণবিক অস্ত্রের হিসেবে ইউরোপের জোটের তুলনায় মস্কোর পারমাণবিক শক্তি রয়েছে বেশি।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলা চালায় রাশিয়া। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে ভয়াবহ এক সংঘাত এবং ১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর মস্কো ও পশ্চিমের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সাম্রাজ্যবাদী ভূমি দখলের প্রচেষ্টা হিসাবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে। আর ইউক্রেন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে তার ভূখণ্ড থেকে শেষ রুশ সৈন্যকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত।
সান নিউজ/জেএইচ/এমআর