সান নিউজ ডেস্ক: জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) নানসেন শরণার্থী পুরস্কার পাচ্ছেন জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সাহস নেই কিছু করার
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নানসেন শরণার্থী পুরস্কারের জন্য মেরকেলের নাম ঘোষণা করে ইউএনএইচসিআর।
ইউএনএইচসিআর জানায়, সিরিয়ায় মারাত্মক সংঘাতের মধ্যে তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল ২০১৫-২০১৬ সালে ১২ লাখের (১.২ মিলিয়ন) বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ম্যার্কেলকে নানসেন শরণার্থী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর জেনেভায় এক অনুষ্ঠানে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলরকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাস খাদে, নিহত ২৫
সংস্থাটি বলছে, সে সময়ে জার্মান চ্যান্সেলর বলেছিলেন, এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা আমাদের ইউরোপীয় মূল্যবোধকে পরীক্ষায় ফেলেছে, যা এর আগে খুব কমই হয়েছে। এটি মানবিক বাধ্যবাধকতার চেয়ে বেশি। তিনি তার সহকর্মী জার্মানদের বিভক্ত জাতীয়তাবাদ প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার পরিবর্তে সহানুভূতিশীল এবং মুক্তমনা হওয়ার আহ্বান জানান।
চ্যান্সেলর পদে থাকাকালীন শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে দেশটিতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মেরকেলকে। এ নিয়ে দেশটিতে মেরকেল বিরোধীদের প্রচারণা হয়েছে প্রচুর।
ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, সাবেক ফেডারেল চ্যান্সেলর আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা ও মানবাধিকার, মানবিক নীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে দাঁড়ানোর দৃঢ়তার প্রশংসা করছি। এক মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থীকে বাঁচতে ও পুনর্নির্মাণে সহায়তা করার মাধ্যমে সাবেক চ্যান্সেলর নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সাহস প্রদর্শন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শাকিবের সিনেমা থেকে বুবলী-পূজা বাদ!
প্রসঙ্গত, নরওয়ের খ্যাতনামা পর্যটক ফ্রিডজফ নানসেন শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অবদানকে স্মরণীয় রাখতে ১৯৫৪ সালে নানসেন পুরস্কার চালু করে ইউএনএইচসিআর। এরপর থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। মূলত, এ পুরস্কারটি এমন একজন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থাকে দেওয়া হয়; যারা শরণার্থী, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত বা রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখেন।
সান নিউজ/এনকে