সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীর পিছু হটার হওয়ার পরেও নিশ্চুপ রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় ক্ষতি হচ্ছে
এ ব্যাপারে শুধু পুতিনই নন, বরং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোয়েগুও কোনো মন্তব্য করেননি। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাদের হামলার মুখে শনিবার খারকিভ প্রদেশের ইজিয়াম থেকে পিছু হটে রুশ সেনারা। মার্চ মাসে কিয়েভ থেকে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার পর থেকে খারকিভ ইজিয়ামের দ্রুত পতন ছিল মস্কোর সবচেয়ে খারাপ পরাজয়। হাজার হাজার রাশিয়ান সৈন্য গোলাবারুদ মজুদ এবং সরঞ্জাম রেখে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে কমেছে প্রাণহানি
রুশ সেনাবাহিনীর এই পিছু হটার বিষয়ে মুখ খুলেছেন চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ। ইউক্রেন যুদ্ধে চেচেন যোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে অংশ নিয়েছেন রমজান। ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় রমজান পরাজয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি।
তিনি বলেছেন, যদি আজ বা কাল বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনায় পরিবর্তন না করা হয়, আমি বাধ্য হব দেশটির নেতৃত্বের কাছে গিয়ে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে।
রুশ জাতীয়তাবাদী যোদ্ধা এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির সাবেক কর্মকর্তা ইগর গিরকিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোয়েগুর তীব্র সমালোচনা করে তাকে ‘পুতুল মার্শাল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তার দাবি, সারাদেশে সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হলে ইউক্রেনে পরাজিত হবে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ হামলা
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।
সান নিউজ/এনকে