সান নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বোমা হামলায় তালেবানের অন্যতম এক শীর্ষ ধর্মীয় নেতা নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) কাবুলের একটি সেমিনারিতে হামলাকারী একটি প্লাস্টিকের কৃত্রিম পায়ে লুকিয়ে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে নিহত হন শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি।
আরও পড়ুন: শিল্পকারখানায় সাপ্তাহিক ছুটির তালিকা ঘোষণা
তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র বিলাল করিমি বলেছেন, ‘খুব দুঃখের সাথে জানানো হচ্ছে যে সম্মানিত আলেম (শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি) শত্রুদের কাপুরুষোচিত হামলায় শহীদ হয়েছেন।’ কে বা কারা এই হামলার জন্য দায়ী তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি।
তালেবানের চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামলাকারী এমন একজন যিনি আগে তার পা হারিয়েছিলেন এবং একটি প্লাস্টিকের কৃত্রিম পায়ে বিস্ফোরকগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন।
তালেবানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা তদন্ত করছি এই ব্যক্তি কে এবং কারা তাকে শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানির ব্যক্তিগত অফিসে প্রবেশের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে এসেছিল। এটি আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।’
আরও পড়ুন: সরকারি ওষুধ বিক্রি করলে ১০ বছর জেল
শেখ হাক্কানি আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সমর্থক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ছিলেন জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের (আইএস-কে) একজন কট্টর সমালোচক।
তিনি আফগানিস্তানে নারী শিক্ষার পক্ষে ছিলেন। আফগানিস্তানের নারী শিক্ষা নিয়ে বিতর্কের পরও এর আগে নারী শিক্ষার সমর্থনে একটি ফতোয়া জারি করেছিলেন শেখ হাক্কানি।
তার মৃত্যু ইসলামী আমিরাতের জন্য অনেক বড় ক্ষতি বলে তালেবানের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ হামলার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য অসত্য
অবশ্য এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা দায়ী তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। এর আগে ইসলামিক স্টেট (আইএস) তার ওপর হামলার চেষ্টা করেছিল।
সান নিউজ/এনকে