সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে অবিরত সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: ইনকিউবেটরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাতে প্রায় পুরো ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতা বেজেছে। ওই দিন রাতে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
রুশ হামলা মোকাবিলায় কিয়েভকে আরও আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, এর আগে রাজধানী কিয়েভ এবং অন্যান্য কিছু অঞ্চলে কিছু সময়ের জন্য কোনো বিমান হামলার সতর্কতা ছিল না। তবে কিছু লোক এমন অস্বাভাবিক নীরবতার কারণে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন বোধ করেছিল। তারা অত্যাধিক চিন্তা করছিল, ভয় পাচ্ছিল, কোনো ধরনের ব্যাখ্যা খুঁজছিল– যেন দখলকারীরা কিছু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডে যুক্তি খোঁজা উচিত নয়। রুশ বাহিনী কোনো বিরতি নিচ্ছে না। তাদের একটিই কাজ, আর তা হলো- মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া, মানুষকে ভয় দেখানো। আজ সন্ধ্যায়, কিয়েভ এবং আবারও প্রায় পুরো ইউক্রেন বিমান হামলার সতর্কতার অ্যালার্ম শুনেছে।
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, পশ্চিম ইউক্রেনের খমেলনিতস্কি অঞ্চল, দিনিপ্রোপেত্রোভস্কের কেন্দ্রীয় অঞ্চল, সুমির সীমান্ত অঞ্চল এবং কৃষ্ণ সাগরের বন্দর শহর মিকোলাইভ ও অঞ্চলে হামলা চালানো হয়েছে।
তার ভাষায়, কিছু রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউক্রেনের জন্য আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী ব্যবস্থা পেতে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা এক দিনের জন্যও আমরা কম করিনি এবং কমাব না।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে