আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার (১ জুলাই) হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির আধা স্বায়ত্তশাসিত এ অঞ্চল সফরে গেছেন।
আরও পড়ুন : হাটে মানতে হবে ১৬ নির্দেশনা
শি জিনপিং হংকং সফরে বলেছেন, চীনের ‘এক দেশ দুই নীতি’ হংকংকে সুরক্ষা দিয়েছে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও উন্নতির নিশ্চয়তা দিতে পারে। এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে বিবিসি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) চীনের হংকং সফরে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভের পর হংকংয়ে এটাই তার প্রথম সফর।
চীনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ‘আগুন থেকে হংকং নতুন করে জন্ম নিয়েছে।দীর্ঘ মেয়াদে মেনে চলতে হবে এই নীতি।’
আরও পড়ুন : ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি টাইগাররা
প্রসঙ্গত, হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিরা প্রতিবছর স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে । সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালে। বিক্ষোভ ঠেকাতে ওই সময় ব্যাপক ধরপাকড় চালায় চীন।
শি জিনপিং সরকার ২০২০ সালে হংকংয়ের নিরাপত্তা ইস্যুতে কঠোর আইন পাস করে ।
গণতন্ত্রকামী হংকংয়ের পরবর্তী প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হয়েছেন এবার চীনপন্থি জন লি। গণতন্ত্রের দাবিতে করা আন্দোলন কঠোরভাবে দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন এই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা। এখন তার হাতেই হংকং পরিচালনার দায়িত্ব।
আরও পড়ুন : ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
বেইজিংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ৬৪ বছর বয়সী এই কর্মকর্তা। ২০২০ সালের গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকে চূর্ণ করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে । এসব কারণে জন লি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন ।
চীনের সেই আইনের আওতায় হংকংয়ের ১৫০ জনের বেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। গণতন্ত্রপন্থি অনেক নেতাকেই সে সময় জেলে যেতে হয়। পালাতে বাধ্য হন অনেকে।
সিভিল সোসাইটির সংগঠনগুলো ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি হংকংয়ে অ্যাপল ডেইলি ও স্ট্যান্ড নিউজের মতো মিডিয়া আউটলেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
প্রসঙ্গত, বৃটেনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হস্তান্তরের ৫০ বছর পর (১৯৪৭ সাল) হংকংয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবে চীন। তবে চুক্তি অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে অঞ্চলটি স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীন থাকবে।
সান নিউজ/এইচএন