নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) মধ্যরাতে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারির এ ঘোষণা দেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
মধ্যরাতে প্রকাশিত সরকারি গেজেটে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে বলেন, ‘জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা নিশ্চিত করতে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অশান্তির আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণায় বিক্ষোভকারীদের দমন সহজ হয়েছে। জরুরি অবস্থার মধ্যে কেউ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ কিংবা বিক্ষোভ করলে তাকে গ্রেফতার করে বিচার ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদে আটকে রাখার আইনি ভিত্তি পাবে সেনাবাহিনী।
এর আগে দেশটিতে অর্থনীতি ধসে পড়ার জন্য সরকারকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার রাতে কলম্বোর মিরিহানায় প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন দেশটির জনগন। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গ্যাস এবং পানির তীব্র সংকট, খাদ্য সংকট, প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশচুম্বী দামসহ নানা সমস্যার বেড়াজালে আটকা আছে শ্রীলঙ্কার মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুণ হয়ে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
গত মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া জুলাইয়ে বন্ড পরিশোধে ব্যয় হয় এক বিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা বলছেন, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি সে দেশের অর্থনীতি।
সাননিউজ/এমএসএ