সান নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের তিন প্রধান সহযোগী তার মন্ত্রিসভা ছাড়তে চলেছে। বুধবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল
এ নিয়ে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ হারানোর দ্বারপ্রান্তে ইমরান খানের সরকার। দেশটির সরকারের সমর্থনকারী জোটের এক শীর্ষ নেতা এই তথ্য জানান।
এটি এই মাসের শেষের দিকে শুরু হতে যাওয়া ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন বাড়িয়ে দিবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাম টিভিতে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ এর নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহি।
এলাহি বলেন, ইমরান খানের এখন কাজ হলো ব্যক্তিগতভাবে তার মিত্র দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাদের জোট সরকারে থাকতে রাজি করা। অন্যথায় শতভাগ সমস্যায় পড়বেন তিনি।
পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারের বিরোধীপক্ষ জাতীয় অধিবেশনে স্পিকারকে অনুরোধ জানিয়েছে ইমরান খানের ওপর অনাস্থা ভোট আনতে। দেশটির সরকারের কিছু মন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী ২৮-৩০ মার্চ তারা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিতে পারেন।
এর আগে, গত ০৮ মার্চ রাজধানী ইসলামাবাদে এই দু’টি দলের নেতৃত্বে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সেখানে বিরোধীরা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে দাবি তোলেন হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো আস্থাভোটের মুখোমুখী হোন।
গত বছর মার্চে বিরোধীদের দাবিতে প্রথমবারের মতো আস্থা ভোটের মুখোমুখী হয়েছিলেন ইমরান খান, তবে সেবার খুবই অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে উৎরে গিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আয়োজিত সেই আস্থা ভোটে জয়ের জন্য ইমরানের ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন ছিল এবং তিনি পেয়েছিলেন ১৭৬ টি ভোট।
চলতি বছর ফের আস্থা ভোটের মুখে পড়তে হচ্ছে ইমরান খানকে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, আগামী ২৮ থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে হতে পারে এই আস্থা ভোট।
আরও পড়ুন: হাদিসুরের পরিবার পাবে এক কোটি টাকা
এবার অবশ্য আস্থা ভোটের বৈতরণী পেরোনো কঠিন হবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কারণ, তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতৃত্বাধীন ৫ দলের জোট সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে ৩টি শরিক দল বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এই তিন দল হলো মুসলিম লীগ-কায়েদ পার্টি, বেলুচিস্তান আওয়ামি পার্টি ও মুত্তাহিদা কওমী মুভমেন্ট। অবশ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও তিন দলের নেতাদের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো। এমন পরিস্থিতিতেই এই মন্তব্য করলেন চৌধুরি পারভেজ এলাহি।
সান নিউজ/এনকে