সান নিউজ ডেস্ক: ভারতের ছোড়া একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানে গিয়ে পড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়ান চানু শহরে আছড়ে পড়ে। বুধবার (৯ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা হারাচ্ছে রাশিয়া
অন্যদিকে এক বিবৃতি দিয়ে নয়াদিল্লি ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ঘটনাটি ভুলবশত ঘটেছিল। শুক্রবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে এ বলা হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারত সরকার বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং আদালতের উচ্চপর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় ইসলামাবাদে ভারতের চার্জ ডি‘অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে ‘অকারণে আকাশসীমা লঙ্ঘনের’ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে, রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত ৯ মার্চ রুটিন রক্ষণাবেক্ষণের সময় যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে ভারত সরকার। উচ্চপর্যায়ের কোর্ট অফ এনকোয়ারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের একটি জায়গায় সেই ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনা গভীরভাবে দুঃখজনক হলেও বিষয়টি অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক যে দুর্ঘটনার জন্য কোনো প্রাণহানি হয়নি।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবাজদের দমন করুন
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল বাবর ইফতিখার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ক্ষেপণাস্ত্রটি মিয়ান চানু শহরে গিয়ে পড়ে। ক্ষেপণাস্ত্রটি কিছু স্থাপনার ক্ষতি করলেও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
রাশিয়ার সংবাদসংস্থা স্পুটনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তান ভূখণ্ডে পড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের হরিয়ানার সিরসা থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়া চান্নু শহরের আকাশে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নজরে আসে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ৮ জেনারেল বরখাস্ত
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে স্পুটনিকে বলা হয়, ‘সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের এয়ার ডিফেন্স অপারেশন সেন্টার লক্ষ্য করে যে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে একটি উচ্চগতির বস্তু আকাশে উড়েছে। প্রাথমিক গতিপথ থেকে সরে গিয়ে বস্তুটি হঠাৎ করে পাকিস্তানি ভূখণ্ডের দিকে চলে যায় এবং পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে মিয়া চান্নুর কাছাকাছি চলে আসে সেটি।’
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘আর্মড’ ছিল না। অর্থাৎ হামলা চালানোর উদ্দেশে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়নি।