আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত রাশিয়ান মিশনের ১২ জন সদস্যকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ।
সোমবার ( ১ মার্চ) গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের ‘গোয়েন্দা অপারেটিভ’ হিসেবে অভিযুক্ত করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক আগ্রাসনের পঞ্চম দিনে মার্কিন প্রশাসন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
মার্কিন মিশন জাতিসঙ্ঘে এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী গুপ্তচরবৃত্তিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগের অপব্যবহার করেছেন রুশ কূটনীতিকরা।
মিশন আরো জানিয়েছে, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ‘কয়েক মাস ধরে উন্নয়নশীল’ এবং ১৯৩ সদস্যের বিশ্ব সংস্থার হোস্ট হিসেবে জাতিসঙ্ঘের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি অনুসারে নেয়া হয়েছে।
রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেন জিয়া অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, মার্কিন সরকার সব সময় এটা করে। যখন তারা কাউকে অনাস্থাভাজন দূত হিসেবে ঘোষণা করে তখন তারা এ অজুহাত দেখায়। এটাই তাদের একমাত্র ব্যাখ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রিচার্ড মিলস বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রুশ কূটনীতিকরা দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা অনুসারে কূটনীতিক হিসেবে তারা এমন কার্যকলাপে নিযুক্ত ছিলেন যা তাদের উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, দুই প্রতিবেশী দেশের চলমান সংঘাতের অবসানে বেলারুশে রাশিয়া-ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শুরু হয়েছিলো গতকাল।
গতকাল সোমবার( ২৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে প্রিপিয়াত নদীর কাছে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তের গোমেল অঞ্চলে এই বৈঠক শুরু হয়ে।
আরও পড়ুন:বিমা হয়রানি বন্ধ করতে হবে
এদিকে, অবিলম্বে ‘যুদ্ধবিরতি’ এবং ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় রাজধানী কিয়েভ।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ফেরা অনিশ্চিত
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি জোনাহ হুল পশ্চিম ইউক্রেনের লভিভ শহরে রয়েছেন। রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের মাঝে শেষ পর্যন্ত এই শান্তি আলোচনা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে সে বিষয়ে আগাম ধারণা করা কঠিন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
সান নিউজ/এইচএন