সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন। বেলারুশের সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসবে দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রাশিয়ার সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্যও অনুরোধ জানান।
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর তিনদিক দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সৈন্যরা।
দ্রুত গতিতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করার পরিকল্পনা ছিল রাশিয়ার। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। কারণ ইউক্রেনের সেনারা রাজধানীকে নিজেদের দখলে রাখতে সেখানে জড়ো হয় এবং কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন কারফিউ তুলে নিয়েছে
রাজধানী কিয়েভ দখল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর রাশিয়া কোনো পূর্ব শর্ত ছাড়া আলোচনায় বসতে রাজি হয়। তবে আলোচনার কথা বললেও তারা ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যহত রাখে।
এই হামলার মাঝেই রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টাকে ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন তিনি।
সে সময় জেলেনস্কি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইউক্রেন জুড়ে যুদ্ধ চলমান থাকার এই সময়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা দেশটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ‘গুগল ম্যাপ’ বন্ধ
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রসন শুরু করেছে রাশিয়া। সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার ইউক্রেনমুখী সৈন্য অগ্রগতি স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু কিয়েভ আলোচনা প্রত্যাখ্যান করায় শনিবার ফের অগ্রসর হতে শুরু করে রুশ বাহিনী।
সান নিউজ/এনকে