আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের বিদ্রোহী যোদ্ধাদের ওপর সরকারি বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। রুশপন্থি যোদ্ধাদের ওপর কামানের গোলা, গ্রেনেড এবং মেশিনগান ব্যবহার করে চার দফায় এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেন ।
পূর্বাঞ্চলীয় ইউক্রেনের রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের ভূখণ্ডের ওপর মোট চার দফায় হামলা করেছে ইউক্রেনের সরকার। স্ব-ঘোষিত লুহানস্ক পিপল’স রিপাবলিকের প্রতিনিধিদের ইস্যু করা একটি বিবৃতিতে এই দাবি করা হয় বলে আলজাজিরা প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। এছাড়া ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বিষয়ক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর দ্য সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই)-র পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৯৪
ওএসসিই মূলত পূর্ব ইউরোপের পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে থাকে। তবে সম্প্রতি বেশ কিছু পর্যবেক্ষককে তারা ওই অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলছে যে, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করে বসতে পারে রাশিয়া। একই আশঙ্কা প্রকাশ করছে ওয়াশিংটনের অন্যান্য মিত্র দেশগুলোও। এমনকি হামলার জন্য মিথ্যা অজুহাতও রাশিয়া দাঁড় করাতে পারে বলে পরিষ্কারভাবেই বলে আসছিল পশ্চিমা দেশগুলো।
তবে মস্কো দাবি করেছে, সামরিক মহড়া শেষে ইউক্রেনে সীমান্ত থেকে ঘাঁটিতে ফিরতে শুরু করেছে রুশ সেনারা। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম কোনো নারীর এইচআইভি জয়
কিন্তু পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, মস্কোর এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তারা পাননি। বরং গত কয়েকদিনে ইউক্রেন সীমান্তে আরও ৭ হাজার রুশ সেনাকে জড়ো করা হয়েছে।
সাননিউজ/এমআরএস