আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্তে লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। পশ্চিমা বিশ্বের শঙ্কা, ইউক্রেনে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে রুশ সেনারা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া। এ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা হওয়ার সম্ভাবনা এখনও খুব প্রবল বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে হামলা হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। আর তাতে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। এতে সাধারণ মার্কিন জনগণ ভুক্তভোগী হলেও তারা তা মেনে নেবে বলে দাবি করেন বাইডেন।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন জনগণ জানে যে এমনি এমনি গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় না।
আরও পড়ুন: বিস্ময়কর চাঁদের দেখা মিলবে
উল্লেখ্য, এর আগে মার্কিন গোয়েন্দারা আভাস দিয়েছিলেন, বুধবার ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দিনটিকে ঐক্যের দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এদিন দেশের নাগরিকদের দেশের পতাকা ওড়ানো এবং লাল ও নীল রঙের (ইউক্রেনের জাতীয় রং) রিবন পরার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে আজ বুধবার রাশিয়া ঘোষণা করেছে, মস্কোর দখল করে নেওয়া ক্রিমিয়াতে তাদের সামরিক মহড়া শেষ হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৌশলগত অনুশীলনে অংশগ্রহণ শেষ করে সৈন্যরা তাদের স্থায়ী ঘাঁটিতে চলে যাচ্ছে।'
তবে কতো সৈন্য ফেরত যাচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে ন্যাটোসহ ইউরোপের নেতারাও রাশিয়ার তৎপরতার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সন্দিহান। তারা বলছেন, রাশিয়া যে ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে সরে যাচ্ছে তার কোনো চিহ্ন তারা এখনও দেখতে পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া
ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, পরিস্থিতি মনে হচ্ছে উল্টো। মনে হচ্ছে রাশিয়ার তাদের সামরিক সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুটো ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট সাইবার হামলার শিকার হয়েছে।
এছাড়া জেলেনেস্কি বলেন, ইউক্রেন সীমান্তের কাছ থেকে রুশ সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। আমরা শুধু শুনেছি রাশিয়া সেনা সরিয়ে নিচ্ছে তবে দৃশ্যত কিছু আমরা এখনো দেখিনি।
এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধের শঙ্কায় এখন পর্যন্ত ১২টির বেশি দেশ তাদের নাগরিককে ইউক্রেন ত্যাগের পরামর্শ দিয়েছে।
সাননিউজ/এমআরএস