আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার লাগাম টেনে ধরতে টোকিও, ওসাকা এবং আরও সাতটি জেলায় চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ চতুর্থ দফায় বাড়িয়েছে জাপান সরকার। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এসব জায়গায় আগামী ২০ জুন পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বলবৎ থাকবে। তিন দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর আগামী ৩১ মে চলমান জরুরি অবস্থা শেষ হওয়া কথা ছিল।
টোকিও এবং ওসাকা ছাড়া জরুরি অবস্থার আওতায় থাকা অন্য সাতটি জেলা হলো হোক্কাইডো, আইচি, হিওগো, ওকাইয়ামা, হিরোশিমা, ফুকুওকা এবং ওকিনাওয়া। জাপানের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি জরুরি অবস্থা বলবৎ থাকা এসব জায়গায় বসবাস করে।
জরুরি অবস্থার মেয়াদ আবারও বাড়ানোর বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ পরিস্থিতিতে অলিম্পিকের আয়োজন সম্পর্কে দেখা দেওয়া উদ্বেগ সম্পর্কে আমি অবগত। নির্বিঘ্নে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য আমাদের সংক্রমণ পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।’
করোনার সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকা প্রদানের কর্মসূচি জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সুগা। জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের জনগণের জন্য দিনে ১০ লাখ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন তিনি। জাপান সরকার আগামী জুলাইয়ের মধ্যে দেশটির বয়স্ক মানুষদের সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে।
জরুরি অবস্থার মেয়াদ আবারও বাড়ায় টোকিও, ওসাকা ও আরও সাতটি জেলায় রেস্তোরাঁ, পানশালা এবং কারাওকে রাত আটটার পরে বন্ধ থাকবে। পানশালাগুলো মদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকবে। করোনাকালে কার্যক্রম সীমিত থাকায় জাপানের রেস্তোরাঁ ও পানাহার শিল্প ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে। লোকসান পুষিয়ে নিতে সরকার ভর্তুকির ব্যবস্থা করলেও তা অপর্যাপ্ত বলছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত খুশি করতে পারেনি জাপানের ব্যবসায়ীদেরও। করোনা মহামারির ধাক্কায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি–মার্চ) দেশের অর্থনীতি ৫ শতাংশের বেশি সংকুচিত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেকেই বেশ উদ্বিগ্ন। চলমান জরুরি অবস্থার নেতিবাচক প্রভাব তাঁদের ভাবাচ্ছে। তবে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক শুরুর মুখে ব্যবসায়ীদের আপত্তি সত্ত্বেও জরুরি অবস্থা বাড়ানোর পথেই হেঁটেছে জাপান সরকার।
সান নিউজ/বিএস
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            