আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপানের এক ছোট্ট দ্বীপের নাম ‘আওশিমা’। মাছ শিকারের উদ্দেশে এক সময় মানুষ এই দ্বীপে পাড়ি জমিয়েছিল। কিন্তু এসেই বাধে বিপত্তি।
ইঁদুরের উৎপাত সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তারা প্রত্যেকে করে বিড়াল এনে পুষতে শুরু করে। তখন আওশিমায় মানুষ ছিল ৯০০ জন।
এক সময় সংখ্যায় মানুষকে ছাড়াতে শুরু করে বিড়ালের দল। ‘আওশিমা’ থেকে এখন এই দ্বীপের নাম হয়ে গেছে ‘নেকো-শিমা’, অর্থাৎ বিড়ালের দ্বীপ। দ্বীপের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে কেবল বিড়াল আর বিড়ালের পরিবার।
‘আওশিমা’ ছাড়াও জাপানের উপকূলজুড়ে বেশ কয়েকটি বিড়ালের দ্বীপ আছে। এর সবগুলোই এখন ‘নেকো-শিমা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এমন আরেকটি দ্বীপের নাম তাশিরো-জিমা। পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণে পরিণত হওয়ায় জাপানে নতুন নতুন আরো অনেক দ্বীপ বিড়ালের জন্যে গড়ে উঠছে।
বর্তমারে দেশটিতে ১১ টি বিড়ালের দ্বীপ রয়েছে। এগুলো হলো: ওকিশিমা, জেনকাইশিমা, তাশিরো-জিমা, সানাগিশিমা, আওশিমা, আইওয়াইশিমা, মুজুকিজিমা, মানাবেশিমা, আইজিমা, আইশিমা, কাদারাশিমা। এসব দ্বীপে মানুষের পরিবর্তে চলে বিড়ালের শাসন!
প্রশ্ন হচ্ছে- এসব দ্বীপে মানুষের বিপরীতে বিড়ালের অনুপাত কত? এই সংখ্যাটা একেক নেকো-শিমায় একেক রকম পাওয়া গেছে।
যেমন: আওশিমা দ্বীপে একজন মানুষের বিপরীতে ১০টির বেশি বিড়াল দেখা যায়। দ্বীপটিতে মাত্র ১৩ জন মানুষ থাকলেও সেখানে বিড়াল রয়েছে দেড় শতাধিক।
অন্যদিকে তাশিরো-জিমা দ্বীপে ১০০ জন মানুষের বিপরীতে ১০০ টি বিড়াল বসবাস করে। অর্থাৎ সেখানে মানুষ ও বিড়ালের অনুপাত ১:১। মানাবেশিমা দ্বীপেও ১:১ অনুপাতে ৩০০ মানুষের বিপরীতে বাস করে ৩০০টি বিড়াল।
স্থানীয়রা জানান, তাশিরো-জিমা দ্বীপে যারা বাস করতেন, তারা রেশম পোকার চাষ করতেন। রেশম পোকার টানে সারি সারি ইঁদুর আসতো। ফলে এই দ্বীপে একসময় ইঁদুরের উৎপাত সীমা ছাড়িয়ে যায়। তখন থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে বিড়াল পোষার কথা ভাবেন। তখন থেকেই সেখানেও বিড়ালের আধিপত্য শুরু হয়।
সাননিউজ/এএসএম
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            