সুইডেন
আন্তর্জাতিক

দ্রুত ফুরিয়ে আসছে শুক্রাণু, দাতা খুঁজছে সুইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুইডেনে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দাতারা হাসপাতাল এড়িয়ে চলায় শুক্রাণুর তীব্র ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে। দাতারা হাসপাতালে না আসায় গর্ভধারণে শুক্রাণু দিয়ে সহায়তা করা যাচ্ছে না।

যে কারণে হাসপাতালে শুক্রাণু দান কার্যক্রম বৃহৎ অংশে স্থবির হয়ে পড়েছে এবং নারীদের অপেক্ষা বাড়ছে বছরের পর বছর।

গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রজনন শাখার প্রধান অ্যান থুরিন জেলবার্গ বলেছেন, ‌‘আমরা শুক্রাণুর মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার সংকটের মুখোমুখি হয়েছি। আমরা গত বছরের মতো এত কম দাতা কখনো পাইনি। বিষয়টির সম্পর্কে অবগত চিকিৎসকরা বলছেন, শুক্রাণু সংকটের কারণে গর্ভধারণে সহায়তা ছয় মাস থেকে প্রায় ৩০ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। এমনকি অপেক্ষা আরও বাড়তে পারে।’

সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি স্কুলের গণিতের শিক্ষক ২৮ বছর বয়সী এলিন বার্গস্টেন বলেন, এটি মানসিক পীড়াদায়ক যে, আমরা চিকিৎসার জন্য একটি পরিষ্কার সময় কিংবা তারিখ পর্যন্ত পাচ্ছি না।

দুই বছর আগে বার্গস্টেন এবং তার স্বামী চিকিৎসকের কাছে যান। সেই সময় বার্গস্টেন জানতে পারেন তার স্বামী বীর্য উৎপাদনে অক্ষম এবং এই দম্পতি তাৎক্ষণিকভাবে গর্ভধারণে সহায়তার আবেদন করেন। পরে হাসপাতাল থেকে অন্যের শুক্রাণুর মাধ্যমে সন্তানের প্রক্রিয়া শুরু করেন বার্গস্টেন। দ্বিতীয় দফায় শুক্রাণু নেওয়ার আগে ঘাটতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য তার এই চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়।

দেশটির তিন জনবহুল অঞ্চলের কথা উল্লেখ করে থুরিন জিলবার্গ বলেন, ‌‘এটি একটি জাতীয় সংকট। গোথেনবার্গ এবং মালমোতে শুক্রাণু ফুরিয়ে যাচ্ছে। স্টকহোমেও শিগগিরই ফুরিয়ে যাবে।’
সরকারি স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের বাইরেও দেশটির বেসরকারি অনেক ক্লিনিক সংকট কাটাতে বিদেশ থেকে শুক্রাণু কিনতে সক্ষম। কিন্তু এভাবে একজন নারীর গর্ভধারণে সহায়তা কাজে খরচ হবে ১১ হাজার ৭৮৫ মার্কিন ডলার বা এক লাখ সুইডিশ ক্রোন। এই ব্যয় বহন অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। সুইডেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার আওতায় দেশটিতে দানের শুক্রাণুর মাধ্যমে গর্ভাবস্থা সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয়।

সহায়তা গর্ভধারণের হারে বিশ্বে সবার ওপরে রয়েছে নর্ডিক অঞ্চলের সুইডেন এবং বেলজিয়াম। প্রতি ১০ লাখ মানুষের হিসেবে এই হার নির্ধারণ করেছে ইউরোপীয় সোসাইটি অব হিউম্যান রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড এমব্রিওলোজি।

সুইডেনের আইন অনুযায়ী, শুক্রাণুর একটি নমুনা সর্বোচ্চ ছয়জন নারীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশটিতে দাতার কাছ থেকে পাওয়া শুক্রাণুর বেশিরভাগই আইন মেনেই বণ্টন করা হয়।

দেশটির অন্যতম বৃহৎ প্রজনন শাখা রয়েছে স্ক্যান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। এই শাখার পরিচালক মার্গারেটা কিটলিনস্কি বলেন, অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় থাকায় একজন দাতাকে প্রস্তুত করতে প্রায় ৮ মাস সময় লাগে। তিনি বলেন, আপনি যদি ৫০ জন পুরুষের সঙ্গে যোগাযাগ করেন; তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশকে দাতা হিসেবে পেতে পারেন।

সূত্র: রয়টার্স।

সাননিউজ/এএসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা একমাস দাবদ...

মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির অভিযোগে প্রতারণা ও জ...

আমিরাতে প্রবল বৃষ্টিপাত, সতর্কতা জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিপা...

ঢাকায় ফিরল ৮ বাংলাদেশির লাশ  

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউ...

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি’র প্রয়াণ

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

ভারতকে টপকে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতকে সরিয়ে টেস্টে শীর্ষস্থান দখল করেছে অস...

ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেন...

যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারাই চাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক : যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই...

২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য...

১০ টাকায় চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর আগারগাঁও চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা