নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিকা নেওয়ার বয়সসীমা আরও কমানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। এর আগে ৩৫ বছরের পরিবর্তে বর্তমানে ১৮ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করার বিষয়ে সুপারিশ এসেছে আমরা তা নিয়ে আলোচনা করছি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুড়ে যাওয়া কোভিড-১৯ আইসিইউ এবং ওপিডি (আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট প্রসিডিওর) শেড উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ।
তিনি বলেন, টিকা পাওয়ার বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর পর্যন্ত করার সুপারিশ এসেছে। আমরা চিন্তা করছি এটা কমিয়ে আনার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে সম্প্রতি ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এই টিকার বাইরে দেশটি থেকে আরও দেড় কোটি টিকা আসবে। পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে চলতি মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা আসবে।
জাহিদ মালেক বলেন, গ্রামের লোক টিকার নিবন্ধন করতে পারেন না। এজন্য আমরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকা নেওয়ার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছি। এটি পরে চালু করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি প্রফেসর ডাক্তার খুরশিদ আলমসহ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।
এদিকে সোমবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় করোনার টিকার দেওয়ার বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ তে নামিয়ে আনার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এতদিন শুধু ৩৫ বছরের বেশি বয়সীরাই নিবন্ধন করতে পারতেন। ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকা প্রয়োগ শুরুর পরের দিন গত ৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বয়স কমিয়ে ৪০ করা হয়।
বিবৃতিতে টিকার আওতায় দ্রুত আরও বেশি মানুষকে আনতে টিকার বয়সসীমা ১৮ তে নামিয়ে আনা, এনআইডিবিহীন জনসাধারণকে টিকার আওতায় আনা, রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করে জাতীয় কমিটি।
উল্লেখ্য, দেশে প্রথম টিকাদান শুরু হয় ২৭ জানুয়ারি। তখন বয়সসীমা ছিল ৫৫ বছর। এর ১০ দিন পর রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে গণটিকা প্রয়োগ শুরুর পরের দিন গত ৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বয়স কমিয়ে ৪০ করা হয়। পরবর্তীতে তা ৩৫ করা হয়। বর্তমানে তা আরও কমিয়ে ১৮ বছর নির্ধারণ করা হলো।
সান নিউজ/এফএআর